Tuesday, 7 October 2014

প্রত্যেক দূরবর্তী দেশের লোক নিজ নিজ দেশে চাঁদ দেখে রোযা ও ঈদ পালন করবে

 عن کریب ؒ أن أم الفضل بنت الحرث بعثتہ إلی معاویۃ ؓ بالشام قال : فقدمت الشام فقضیت حاجتہا ‘ و استہل علیّ رمضان و أنا بالشام فرأیت الہلال لیلۃ الجمعۃ ثم قدمت المدینۃ فی أخر الشہر فسألنی عبد اللہ بن عباسؓ ثم ذکر الہلال ‘ فقال : متی رأیتم الہلال ؟ فقلت :رأیناہ لیلۃ الجمعۃ فقال : أنت رأیتہ ؟ فقلت : نعم ‘ و رأہ الناس وصاموا و صام معاویۃ ؓ فقال : لکنا رأیناہ لیلۃ السبت ‘ فلا نزال نصوم حتی نکمل ثلاثین ‘ أو نراہ فقلت : أو لا تکتفی برویۃ معاویۃ و صیامہ ؟ فقال : لا ‘ ہکذا أمرنا رسول اللہ ۔ ﷺ ۔
رواہ الإمام مسلم فی’’ صحیحہ ‘‘ برقم (۱۰۸۷) کتاب الصیام ‘ باب بیان ان لکل بلد رؤیتہم و أنہم إذا رأووا الہلال ببلد لا یثبت حکمہ لما بعد عنہم.
অর্থ: হযরত কুরাইব (রহঃ) থেকে বর্ণিত, যে হযরত উম্মুল ফযল বিনতে হারেজ (রাযিঃ) তাকে কোন এক প্রয়োজনে সিরিয়াতে পাঠালেন। তিনি বলেন আমি সিরিয়া পৌঁছে আমার প্রয়োজন পূর্ণ করলাম, ইত্যবসরে আমি সিরিয়াতে থাকা অবস্হাতেই রামাযানের চাঁদ উঠল। আমি দেখলাম যে, জুমু‘আর রাত্রিতে চাঁদ উঠেছে। এরপর মাসের শেষে মদীনায় ফিরে আসলে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) আমার সাথে চাঁদের ব্যাপারে আলোচনা করলেন। এবং জিজ্ঞেস করলেন যে তোমরা কবে চাঁদ দেখেছো? আমি বললাম জুমু‘আর রাত্রে দেখেছি। তিনি বললেন তুমিও দেখেছ? আমি বললাম জি হ্যাঁ এবং অন্যান্য লোকেরাও দেখেছে। এবং তারা রোযা রেখেছে এবং মু‘আবিয়া (রাযিঃ) ও রোযা রেখেছে। হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন: কিন্তু আমরাতো শনিবার রাত্রে দেখেছি। কাজেই আমরা আমাদের চাঁদ দেখা অনুযায়ী ত্রিশ রোযা পূর্ণ করা পর্যন্ত বা ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা পর্যন্ত রোযা রেখেই যাব। কুরাইব (রাযিঃ) বলেন: আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি হযরত মু‘আবিয়া (রাযিঃ) এর চাঁদ দেখা ও রোযা রাখা কে যথেষ্ট মনে করেন না? তিনি বললেন যে, না। কারণ প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এ নির্দেশই দিয়েছেন। (অর্থাৎ, দূরবর্তী অন্য দেশের চাঁদ দেখাকে গ্রহণ না করে নিজেরা চাঁদ দেখে রোযা-ঈদ পালন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন)। সূত্র: মুসলিম শরীফ হাদীস নং (১০৮৭) আবূ দাউদ শরীফ হাদীস নং (২৩৩২) নাসাঈ শরীফ হাদীস নং (২১১০) তিরমিষী শরীফ হাদীস নং (৬৯৩)

উল্লেখ্য যে, এ হাদীস দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হল যে, দূরবর্তী এক দেশের লোকদের চাঁদ দেখা অন্য দেশের লোকদের জন্য যথেষ্ট নয় বরং প্রত্যেক দেশের লোকজন নিজ নিজ দেশে চাঁদ দেখে ইবাদত পালন করবে। আর এ জন্যই হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হযরত মু‘আবিয়া (রাযিঃ) ও হযরত কুরাইবের সিরিয়াতে চাঁদ দেখে রোযা রাখাকে নিজেদের জন্য যথেষ্ট মনে করেননি। বরং তাঁর সেই দেখাকে প্রত্যাখ্যান করে নিজেদের দেখার কথা সুস্পষ্টভাবে বলে দিলেন।

No comments:

Post a Comment