কাদিয়ানী জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী দাবি করেছে যে, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম শেষ নবী নন!। বরং তাঁর পরেও আরো নবী আসতে পারেন। এর কিছুদিন পর সে নিজেই নিজেকে নবী বলে দাবী করেছে। আর অনেক মূর্খ লোক তাকে নবী হিসেবে মেনে নিয়েছে।
জবাব :
মিথ্যা নবুওয়াতের দাবী করা বা এরূপ সমর্থন করা প্রকাশ্য কুফর। নবুয়াত দাবি করে গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নিজে কাফির হয়েছে এবং এ দাবী মেনে নেওয়ার কারণে তার অনুসারীরাও কাফির হয়েছে। নিঃসন্দেহে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম খাতামুন নাবিয়্যীন বা সর্বশেষ নবী। এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। মুফতী আযম শফী (রহ) তৎপ্রণীত, ‘খতমে নবুওয়ত’ নামক কিতাবে প্রায় একশটি আয়াতে কুরআনী পেশ করেছেন
জবাব :
মিথ্যা নবুওয়াতের দাবী করা বা এরূপ সমর্থন করা প্রকাশ্য কুফর। নবুয়াত দাবি করে গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নিজে কাফির হয়েছে এবং এ দাবী মেনে নেওয়ার কারণে তার অনুসারীরাও কাফির হয়েছে। নিঃসন্দেহে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম খাতামুন নাবিয়্যীন বা সর্বশেষ নবী। এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। মুফতী আযম শফী (রহ) তৎপ্রণীত, ‘খতমে নবুওয়ত’ নামক কিতাবে প্রায় একশটি আয়াতে কুরআনী পেশ করেছেন
ما كانَ مُحَمَّدٌ أَبا أَحَدٍ مِن رِجالِكُم وَلـٰكِن رَسولَ اللَّهِ وَخاتَمَ النَّبِيّـۧنَ ۗ وَكانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَىءٍ عَليمًا ﴿٤٠﴾
[সূরাহ আহযাব, আয়াত ৪০]
وَالَّذينَ يُؤمِنونَ بِما أُنزِلَ إِلَيكَ وَما أُنزِلَ مِن قَبلِكَ وَبِالءاخِرَةِ هُم يوقِنونَ ﴿٤﴾
[সূরাহ সূরাহ বাকারাহ, আয়াত ৪]
ইত্যাদি এবং দু’শর বেশি সহীহ হাদীস পেশ করেছেন। [সূত্র :বুখারী শরীফ, পৃষ্ঠা ৫০১] ইত্যাদি।
ইত্যাদি এবং দু’শর বেশি সহীহ হাদীস পেশ করেছেন। [সূত্র :বুখারী শরীফ, পৃষ্ঠা ৫০১] ইত্যাদি।
যে গুলোর প্রত্যেকটি দ্বারা স্পষ্টরূপে প্রমাণিত হয় যে, আমাদের নবীই শেষ নবী এবং তাঁর দ্বারা নবুওয়াতের ও ওহীর দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তা ছাড়া কুরআনের পূর্ববর্তী সকল আসমানী কিতাবেও হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম শেষ নবী হিসেবে আখ্যায়িত করা করা হয়েছে। এ জন্য নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইনতিকালের পর যখন ‘মুসাইলামাতুল কাযযাব’ নবুওয়াত দাবি করে, তখন এই মর্মে সমস্ত সাহাবায়ে কিরামের (রাযি) ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, আমাদের নবীই শেষ নবী। তাঁর পরে কোনক্রমেই আর কোন নতুন নবীর আগমন ঘটতে পারে না। সুতরাং, যে কেউ এখন নবুওয়াতের দাবি করবে, সে কাফির সাব্যস্ত হবে। তার বিরুদ্ধে জিহাদ করা এবং তাকে কতল করা জরুরী। উল্লেখিত দলিল-প্রমাণের ভিত্তিতে সাহাবায়ে কিরাম (রাযি) ঐকমত্যের ভিত্তিতে মুসাইলামাতুল কাযযাবের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন এবং শেষ পর্যন্ত তাকে কতল করে উম্মতের ঈমান হেফাযতের ব্যবস্থা করেন।
পাঠক! লক্ষ্য করুন, উপরোক্ত দাবি প্রমাণের জন্যে যেখানে কুরআনের একটা আয়াতই যথেষ্ট ছিল, সেখানে প্রায় এক’শ আয়াত এবং দু’শর অধিক হাদীস প্রমাণ রয়েছে। এ কারণে বিশ্বের সকল হাক্কানী উলামায়ে কিরামের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত এই যে, আমাদের নবীর পরে যে কেউ নবুওয়াতের দাবি করবে, সে কাফির এবং তাকে যে ব্যক্তি নবী হিসেবে স্বীকার করবে, সেও কাফির। এমনকি মিথ্যুক নবীর নিকট তার নবুওয়াতের দলিল জানতে চাওয়াও কুফরী কাজ। কারণ দলিল-প্রমাণ চাওয়ার অর্থ এই দাঁড়ায় যে, এখনো নতুন নবী আগমনের সম্ভাবনা আছে। সুতরাং তোমার দলিল সঠিক হলে তোমাকে নবী হিসেবে স্বীকার করা যাবে। [নাউযুবিল্লাহ]
সুতরাং, মুসলমানগণ এ ব্যাপারে খুব সর্তক থাকবেন। আহমদিয়া বা কাদিয়ানী সম্প্রদায় এখন বাংলাদেশের বড় ও প্রসিদ্ধ শহরগুলোতে তাদের অফিস খুলে আস্তানা গেড়েছে। সেখানে তারা বড় বড় অক্ষরে কালিমায়ে তায়্যিবা লিখে রেখেছে। তাদের নাম মুসলমানদের নামের মতো। তারা মুসলমানদের মতো কুরআন তিলাওয়াত করে এবং নিজেদের মর্জি মত কুরআনের ব্যাখ্যা করে। তারা বই-পুস্তক রচনা করে বিনামূল্যে বিতরণ করে এবং নানারকম সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দেখায়। খবরদার ! কখনো তাদের ফাঁদে পা দিবেন না। তারা এমনও বলে যে, তোমাদের মাঝে তো হানাফী, শাফেঈ, মালেকী ইত্যাদি মাযহাব রয়েছে। আহমদিয়া জামাআতও তেমনি একটি মাযহাব। এটা নির্লজ্জ মিথ্যাচার। চার মাযহাবের মধ্য মূল আকীদার বিষয়ে কোন প্রকার মতভেদ নেই। হ্যাঁ এ ধরণের মতভেদ রয়েছে যে, নামাযের মধ্যে আমীন আস্তে না জোরে পড়তে হবে, হাত বুকে না নাভির নিচে বাঁধতে হবে, ইমামের পিছনে সূরাহ ফাতিহা পড়তে হবে কি না? ঈদে ছয় তাকবীর না বারো তাকবীর ইত্যাদি। এ ধরণের ছোটখাট কয়েকটি মাসআলা নিয়ে কেবল তাদের মধ্যে মতভেদ, আর এসবই আমলের সাথে সম্পর্ক রাখে, ঈমান-আকীদার সাথে এগুলোর কোন সম্পর্ক নেই, ঈমান-আকীদার ব্যাপারে সকল মাযাহাবই এক। সুতরাং সাবধান! আহমদিয়া জামা‘আত কখনো হানাফী, শাফেঈ মাযহাবের মতো নয়। বরং তারা ভ্রষ্ট ইহুদী-খ্রিষ্টানদের মতো কাট্টা কাফির ও বেঈমান।
তারা বলে থাকে যে, আমরা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে খাতামুন নাবিয়্যীনরূপে বিশ্বাস করি, বরং আমাদের আকীদার সাথে দ্বিমত পোষণকারীদের চেয়ে এক’শ গুণ বেশি বিশ্বাস করি। কিন্তু খাতামুন নাবিয়্যীন শব্দের অর্থ-শেষ নবী নয়। কারণ এ অর্থ গ্রহণ করার দ্বারা মূলত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আধ্যাত্মিক ত্রুটি ও অসম্পূর্ণতা স্বীকার করা হয়।
মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ও তার অনুসারীদের এরূপ উক্তিও একটি মারাত্মক ধোঁকাবাজী ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ বহু হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেকে খাতামুন নাবিয়্যীন হিসেবে উল্লেখ করার সাথে সাথে এ কথাও বলেছেন যে, আমার পরে আর কোন নবীর আগমন ঘটবে না। এরূপ ব্যাখ্যা তিনি এ জন্যেই দিয়েছিলেন, যাতে করে কাদিয়ানীদের মত গোমরাহ দলসমূহ খাতামুন নাবিয়্যীন শব্দের মনগড়া ব্যাখ্যা দেয়ার কোন সুযোগই না পায়। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আধ্যাত্মিক পূর্ণতা প্রমাণের জন্যে নতুন নবীর আগমনের দাবিও ভিত্তিহীন। বরং নতুন নবী না আসলে তাঁর আধ্যাত্মিক পূর্ণতা আরো বেশি প্রকাশ পায়।
অনেক নব্য শিক্ষিত লোক এমন রয়েছে, যাদের দ্বীনি জ্ঞানের পরিধি খুবই সীমিত। ফলে তারা কাদিয়ানী ও আহমদীদেরকে কাফির আখ্যায়িত করাটাকে উলামায়ে কিরামের সংকীর্ণতা বলে মনে করে। এটা তাদের চরম মূর্খতা ছাড়া আর কিছু নয়। আহমদী জামা‘আত বা কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের সঙ্গে মুসলমানদের মতভেদ রয়েছে ঈমান ও আকীদার ব্যাপারে। কারণ কাদিয়ানী মতবিরোধিতাকে কখনো হানাফী, শাফেঈ ও মালিকীদের মতো পারস্পরিক[ফিকহী মাসাইল সম্পর্কিত] মতবিরোধিতার সাথে তুলনা করা যেতে পারে না। কারণ, কাদিয়ানীরা নিঃসন্দেহে কাফির। এদের কাফির হওয়ার ব্যাপারে কারো কোন দ্বিমত নেই। এরা সরলপ্রাণ মুসলমানদেরকে পথভ্রষ্ট করছে। মুসলমানদের ঈমানের হিফাযত উলামায়ে কিরামের বিশেষ দায়িত্ব। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন এবং পরকালের জবাবদিহিতা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য যিম্মাদারী আদায় করেছেন। সুতরাং তাদের এ যিম্মাদারী আদায়কে কিভাবে সংকীর্ণতা বলা যেতে পারে? বস্তুত কাদিয়ানী ভ্রান্ত সম্প্রদায় সম্পর্কে সর্তক করা আলিমগণের দ্বীনি দায়িত্ব।
মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ও তার অনুসারীদের এরূপ উক্তিও একটি মারাত্মক ধোঁকাবাজী ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ বহু হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেকে খাতামুন নাবিয়্যীন হিসেবে উল্লেখ করার সাথে সাথে এ কথাও বলেছেন যে, আমার পরে আর কোন নবীর আগমন ঘটবে না। এরূপ ব্যাখ্যা তিনি এ জন্যেই দিয়েছিলেন, যাতে করে কাদিয়ানীদের মত গোমরাহ দলসমূহ খাতামুন নাবিয়্যীন শব্দের মনগড়া ব্যাখ্যা দেয়ার কোন সুযোগই না পায়। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আধ্যাত্মিক পূর্ণতা প্রমাণের জন্যে নতুন নবীর আগমনের দাবিও ভিত্তিহীন। বরং নতুন নবী না আসলে তাঁর আধ্যাত্মিক পূর্ণতা আরো বেশি প্রকাশ পায়।
অনেক নব্য শিক্ষিত লোক এমন রয়েছে, যাদের দ্বীনি জ্ঞানের পরিধি খুবই সীমিত। ফলে তারা কাদিয়ানী ও আহমদীদেরকে কাফির আখ্যায়িত করাটাকে উলামায়ে কিরামের সংকীর্ণতা বলে মনে করে। এটা তাদের চরম মূর্খতা ছাড়া আর কিছু নয়। আহমদী জামা‘আত বা কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের সঙ্গে মুসলমানদের মতভেদ রয়েছে ঈমান ও আকীদার ব্যাপারে। কারণ কাদিয়ানী মতবিরোধিতাকে কখনো হানাফী, শাফেঈ ও মালিকীদের মতো পারস্পরিক[ফিকহী মাসাইল সম্পর্কিত] মতবিরোধিতার সাথে তুলনা করা যেতে পারে না। কারণ, কাদিয়ানীরা নিঃসন্দেহে কাফির। এদের কাফির হওয়ার ব্যাপারে কারো কোন দ্বিমত নেই। এরা সরলপ্রাণ মুসলমানদেরকে পথভ্রষ্ট করছে। মুসলমানদের ঈমানের হিফাযত উলামায়ে কিরামের বিশেষ দায়িত্ব। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন এবং পরকালের জবাবদিহিতা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য যিম্মাদারী আদায় করেছেন। সুতরাং তাদের এ যিম্মাদারী আদায়কে কিভাবে সংকীর্ণতা বলা যেতে পারে? বস্তুত কাদিয়ানী ভ্রান্ত সম্প্রদায় সম্পর্কে সর্তক করা আলিমগণের দ্বীনি দায়িত্ব।
- শাইখুল হাদীস আল্লামা মুফতী মনসূরুল হক (দা:বা:)জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া, মুহাম্মাদপুর-ঢাকা।
No comments:
Post a Comment