নব্য শিক্ষিতদের অনেকে ডারউইনের মতবাদ ‘বানর থেকে পর্যায়ক্রমে মানুষ সৃষ্টি হয়েছে’- একথা বিশ্বাস করে। অনেকে কতক বিজ্ঞানীর অভিমত হিসেবে বিশ্বাস করে যে, সূর্য তার স্থানেই স্থির অবস্থান করছে। সূর্য ঘুরছে না। আবার অনেকে সুদভিত্তিক অর্থনীতির মধ্যে কোন প্রকার ক্ষতি বা আল্লাহর নাফরমানীর কথা মেনে নিতে চায় না। কেউবা জন্মনিয়ন্ত্রণের মধ্যে সুখ-শান্তি রয়েছে বলে বিশ্বাস করে। অনেকে ইংরেজদের তৈরী পাঠ্যসূচীতে শিক্ষা গ্রহণ করার কারণে অনেক ধরণের পশ্চিমা দর্শন ও ফিলোসফিকে [যা সম্পূর্নভাবে কুরআন-সুন্নাহবিরোধী] মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে। এমনকি তাদের ইসলামের বন্ধন অতিদূর্বল ও ক্ষীণ হাওয়ায় তারা এগুলোকে ইসলামের ওপর প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
জবাব :
তাদের এসব বিশ্বাস সর্বস্বই মারাত্মক ভুল। এসব ভুলের দরুন তারা পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে অনেক আয়াত ও হাদীসকেই অস্বীকার করে নিজের দ্বীন ও ঈমানকে নষ্ট করে ফেলেছে। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন-
يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا وَنِسَاءً
হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো, যিনি এক ব্যক্তি থেকে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন। আর বিস্তার করেছেন তাদের দুজন থেকে অগনিত পুরুষ ও নারী।
[ সূত্র : সূরাহ নিসা, আয়াত-১]
এছাড়া বিভিন্ন আয়াতে মানবজতিকে – يا بَنِيْ اَدَمَ ‘হে আদমের সন্তান!’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে
পাঠক! চিন্তা করুন, আল্লাহপাক ঘোষণা করেছেন যে, আমি একজোড়া নর-নারী থেকে সমগ্র মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছি এবং সেই নর হচেছন হযরত আদম (আ) ও নারী হচ্ছেন হযরত হাওয়া (আ)। আর দুনিয়ার সমস্ত মানুষ হচ্ছে নবীর আওলাদ। এখন কোন অমুসলিম যদি বানর থেকে মানুষ তৈরির দাবী করে, তাহলে আমাদের বলার কি আছে? আমরা [মুসলমানগণ] এতটুকুই শুধু বলব যে, বংশতালিকা বা বংশপরম্পরা বর্ণনা করার অধিকার প্রত্যেকেরই আছে। আজ হয়তো কেউ তার বংশপরম্পরা বানর থেকে বর্ণনা করছে, আগামীকাল কেউ তার বংশপরম্পরা শুকর থেকে বর্ণনা করবে। আমরা মুসলমান জাতি। আমাদেরও বংশপরম্পরা বর্ণনা করার অধিকার আছে। সেই হিসেবে আমরা বলব যে, আল্লাহ তা‘আলা ঈমানের দৌলতে আমাদেরকে হেফাযত করেছেন। তিনি আমাদেরকে কোন জানোয়ারের বাচ্চা না বানিয়ে তাঁর প্রিয়নবী হযরত আদম (আ) এর সন্তান বানিয়েছেন।
সারকথা, যারা ডারউইনের মতবাদ বিশ্বাস করে, তারা কুরআনের এ সমস্ত আয়াত বিশ্বাস করে না। তেমনিভাবে যারা বিজ্ঞানীদের এ দর্শন ‘সূর্য ঘুরে না, বরং নিজের স্থানে স্থির রয়েছে’ বিশ্বাস করে, তারা সূরাহ ইয়াসীনের ৩৮ নং আয়াত।
وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَهَا
অর্থাৎ: “ সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে, বিশ্বাস করে না। যারা সুদভিত্তিক অর্থনীতির মধ্যে উন্নতির বিশ্বাস রাখে, তারা সূরাহ বাকারার ২৭৬ নং আয়াত।
يَمْحَقُ اللَّهُ الرِّبَا وَيُرْبِي الصَّدَقَاتِ
অর্থাৎ: “ আল্লাহ তা‘আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করনে এবং দান-খয়রাতকে বর্ধিত করেন” বিশ্বাস করে না। অথচ স্মরণ রাখা উচিৎ যে, কুরআনের কোন একটি আয়াত অবিশ্বাস করলে ঈমান চলে যায়। এখানে শুধু নমুনা হিসাবে ২/৪ টা বিষয়ের উপর আলোচনা করা হলো। স্কুল-কলেজের পাঠ্য-পুস্তকে এ ধরণের অনেক বিষয় আছে, যা সরাসরি কুরাআনের সাথে সংঘর্ষপূর্ণ। সুতরাং সংশ্লিষ্ট লোকদের কর্তব্য হচ্ছে, এসব পশ্চিমা দর্শন বিশ্বাস না করা এবং এতে প্রভাবান্বিত না হয়ে হাক্কানী উলামায়ে কিরাম থেকে ইসলামের দৃষ্টিতে এতদসম্পর্কিত বিধান জেনে ঐ সকল ভ্রান্ত আকীদার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের ব্যবস্থা করে কলিজার টুকরো সন্তানদের দ্বীন-ঈমানের হেফাযত করা। দ্বীনদার শিক্ষকগণ এ ব্যাপারে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারেন
জবাব :
তাদের এসব বিশ্বাস সর্বস্বই মারাত্মক ভুল। এসব ভুলের দরুন তারা পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে অনেক আয়াত ও হাদীসকেই অস্বীকার করে নিজের দ্বীন ও ঈমানকে নষ্ট করে ফেলেছে। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন-
يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا وَنِسَاءً
হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো, যিনি এক ব্যক্তি থেকে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন। আর বিস্তার করেছেন তাদের দুজন থেকে অগনিত পুরুষ ও নারী।
[ সূত্র : সূরাহ নিসা, আয়াত-১]
এছাড়া বিভিন্ন আয়াতে মানবজতিকে – يا بَنِيْ اَدَمَ ‘হে আদমের সন্তান!’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে
পাঠক! চিন্তা করুন, আল্লাহপাক ঘোষণা করেছেন যে, আমি একজোড়া নর-নারী থেকে সমগ্র মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছি এবং সেই নর হচেছন হযরত আদম (আ) ও নারী হচ্ছেন হযরত হাওয়া (আ)। আর দুনিয়ার সমস্ত মানুষ হচ্ছে নবীর আওলাদ। এখন কোন অমুসলিম যদি বানর থেকে মানুষ তৈরির দাবী করে, তাহলে আমাদের বলার কি আছে? আমরা [মুসলমানগণ] এতটুকুই শুধু বলব যে, বংশতালিকা বা বংশপরম্পরা বর্ণনা করার অধিকার প্রত্যেকেরই আছে। আজ হয়তো কেউ তার বংশপরম্পরা বানর থেকে বর্ণনা করছে, আগামীকাল কেউ তার বংশপরম্পরা শুকর থেকে বর্ণনা করবে। আমরা মুসলমান জাতি। আমাদেরও বংশপরম্পরা বর্ণনা করার অধিকার আছে। সেই হিসেবে আমরা বলব যে, আল্লাহ তা‘আলা ঈমানের দৌলতে আমাদেরকে হেফাযত করেছেন। তিনি আমাদেরকে কোন জানোয়ারের বাচ্চা না বানিয়ে তাঁর প্রিয়নবী হযরত আদম (আ) এর সন্তান বানিয়েছেন।
সারকথা, যারা ডারউইনের মতবাদ বিশ্বাস করে, তারা কুরআনের এ সমস্ত আয়াত বিশ্বাস করে না। তেমনিভাবে যারা বিজ্ঞানীদের এ দর্শন ‘সূর্য ঘুরে না, বরং নিজের স্থানে স্থির রয়েছে’ বিশ্বাস করে, তারা সূরাহ ইয়াসীনের ৩৮ নং আয়াত।
وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَهَا
অর্থাৎ: “ সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে, বিশ্বাস করে না। যারা সুদভিত্তিক অর্থনীতির মধ্যে উন্নতির বিশ্বাস রাখে, তারা সূরাহ বাকারার ২৭৬ নং আয়াত।
يَمْحَقُ اللَّهُ الرِّبَا وَيُرْبِي الصَّدَقَاتِ
অর্থাৎ: “ আল্লাহ তা‘আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করনে এবং দান-খয়রাতকে বর্ধিত করেন” বিশ্বাস করে না। অথচ স্মরণ রাখা উচিৎ যে, কুরআনের কোন একটি আয়াত অবিশ্বাস করলে ঈমান চলে যায়। এখানে শুধু নমুনা হিসাবে ২/৪ টা বিষয়ের উপর আলোচনা করা হলো। স্কুল-কলেজের পাঠ্য-পুস্তকে এ ধরণের অনেক বিষয় আছে, যা সরাসরি কুরাআনের সাথে সংঘর্ষপূর্ণ। সুতরাং সংশ্লিষ্ট লোকদের কর্তব্য হচ্ছে, এসব পশ্চিমা দর্শন বিশ্বাস না করা এবং এতে প্রভাবান্বিত না হয়ে হাক্কানী উলামায়ে কিরাম থেকে ইসলামের দৃষ্টিতে এতদসম্পর্কিত বিধান জেনে ঐ সকল ভ্রান্ত আকীদার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের ব্যবস্থা করে কলিজার টুকরো সন্তানদের দ্বীন-ঈমানের হেফাযত করা। দ্বীনদার শিক্ষকগণ এ ব্যাপারে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারেন
- শাইখুল হাদীস আল্লামা মুফতী মনসূরুল হক (দা:বা:)জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া, মুহাম্মাদপুর-ঢাকা।
No comments:
Post a Comment