Tuesday, 18 November 2014

স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কর্তব্য

১) সামর্থ অনুযায়ী স্ত্রীর খোরপোষ তথা ভরণ-পোষণ দিতে অবহেলা না করা এবং স্ত্রীর জন্য পৃথক বাসস্থানের ব্যবস্থা করা। যেমন, পৃথক একটি কামরা দেয়া।
২) স্ত্রীকে দ্বীনী মাসআলা-মাসায়িল শিখাতে থাকা এবং নেক কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে থাকা।
৩) স্ত্রীর সাথে সুন্দর আচরণ করা, ভাল ব্যবহার করা, ছোট খাট বিষয় নিয়ে অহেতুক রাগ না করা।
৪) মাহরাম আত্মীয়-স্বজনের সাথে মাঝে মধ্যে দেখা সাক্ষাতের সুযোগ দেয়া।
৫) খামাখা স্ত্রীর প্রতি কু-ধারণা পোষণ না করা এবং তার ব্যাপারে একেবারে উদাসীনও না থাকা।
৬) খরচের ব্যাপারে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা। কৃপনতা না করা আবার বেহুদা খরচেরও অনুমতি না দেয়া।
৭) প্রয়োজন অনুপাতে তার মানবিক চাহিদা পূরণ করে তার দিল-দেমাগ ও দৃষ্টিকে গুনাহ থেকে হেফাজতের ব্যবস্থা করা এবং তা সাধারণভাবে সপ্তাহে একবার হওয়া ভাল। আর প্রতি চার মাসে একবার হওয়া জরুরী।
দাম্পত্য জীবনে কামিয়াবী ও পরিপূর্ণ সুখ-শান্তি হাসিলের জন্য কুরআন-হাদীসের আলোকে বর্ণিত পদ্ধতি জানা আবশ্যক। সেসব পদ্ধতি হচ্ছেঃ- (ক) দু‘আ পড়ে প্রথমে ভুমিকা সমূহ অবলম্বন করবে (খ) ধীর স্থীরতা একান্ত জরুরী (গ) স্বামীর অবস্থান উপরে হবে {সুরা আ‘রাফ-১৮৯} (ঘ) স্বামীর ভর নিজের হাতের উপরে হবে, সীনা মিলাবে না।{বুখারী শরীফ হাদীস নং-৫১৮৯} (ঙ) স্ত্রী পা উঠিয়ে ভাজ করে পায়ের পাতাদ্বয় নিতম্বদ্বয় এর নিকটবর্তী রাখবে। {বুখারী শরীফ-হাদীস নং ২৯১} এ ব্যাপারে অবশিষ্ট মাসায়িল ‘নবীজীর সুন্নাত’ নামক কিতাবে দেখুন।
৮) অন্তরঙ্গ মূহুর্তে তার সাথে যেসব কথাবার্তা হয় তা অন্য কারো নিকট কোন অবস্থাতেই প্রকাশ না করা।
৯) নিজের সামর্থ অনুযায়ী তাকে কিছু হাত খরচ দেয়া এবং তাকে সেই টাকা তার ইচ্ছানুযায়ী যে কোন বৈধ খাতে খরচের অনুমতি দেয়া।
১০) প্রচলিত বিভিন্ন কুপ্রথা ও অনুষ্ঠান- যেখানে বেপর্দা বা অন্য কোন গুনাহ হয়ে থাকে - সেখানে যেতে বাধা দেয়া।

১১) তার অসাবধানতা বা বুদ্ধিমত্তার অভাবে কোন ভুল-ত্রুটি হয়ে গেলে তাতে ধৈর্য ধারণ করা। কখনো শাসন বা সংশোধনের প্রয়োজন দেখা দিলে ভারসাম্য বজায় রাখা।
  • শাইখুল হাদীস আল্লামা মুফতী মনসূরুল হক (দা:বা:)জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া, মুহাম্মাদপুর-ঢাকা।

No comments:

Post a Comment