মহিলাদের করনীয় কাজ এবং বর্জনীয় অভ্যাস
১.ঈমান-আক্বীদা পরিশুদ্ধ করা।
২.ইবাদত বন্দেগী সুন্নাত তরীকায় করা।
৩.স্বামীর খেদমত করা।
৪.স্বামীর বৈধ হুকুম মান্য করা।
৫.স্বামীর মালের হেফাযত করা।
৬.নিজেকে পরিপূর্ণ ভাবে পর্দায় রাখা।
৭.সন্তান লালন-পালন ও দ্বীনী শিক্ষা-দীক্ষা দেওয়া।
৮.মহিলাদের মধ্যে দ্বীনী দাওয়াত পেশ করা ও দ্বীনের জরুরী কথার তালীম করা।
বর্জনীয় অভ্যাস
১. জরুরী আকায়িদ, ইবাদত, সহীহ কুরআন
তিলাওয়াত , পিতা-মাতা, স্বামীর হক ও সন্তানের হক সম্পর্কে ইলম হাসিল করে
না, অথচ জরুরত পরিমাণ ইলম অর্জন করা ফরয।
২. সময়ের পাবন্দি করে না।
৩. দুই তিন জন একত্রিত হলে অন্যের দোষ চর্চায়
লিপ্ত হয়।
৪. আপোসে সালাম দেয়ার অভ্যাস খুবই কম।
৫. চোগলখুরি তথা একের কথা অন্যের কাছে লাগনো
অনেক মেয়েদের একটা বদ অভ্যাস।
৬. সাধারণত মেয়েদের মধ্যে নিজেকে প্রদর্শনের
মানসিকতা অধিক লক্ষ্য করা যায়।
৭. বর্তমান মেয়েরা সাজ-সজ্জার নামে অনেক
নাজায়িয ও হারাম কাজ করে থাকে।
৮. মেয়েদের জন্য সমস্ত শরীর আবৃতকারী মোটা কাপড়ের এমন ঢিলেঢালা পোষাক পরা
জরুরী যাতে করে শরীরের রং, ভাজ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আকার আকৃতি বোঝা না
যায় ।
৯. অনেক মেয়েরা বাহিরে পর্দা করে বের হলেও
পরিবারিক জীবনে পর্দার ধার ধারে না।
১০. অনেকে বোরকা পরিধান করে কিন্তু চেহারা
খোলা রাখে অথচ চেহারা সকল সৌন্দর্যের সমষ্টি; চেহারা আবৃত করা জরুরী।
১১. কোথাও কোন প্রয়োজনে যেতে হলে, অযথা
ঘোরাঘুরি করে যাত্রা বিলম্ব করে ।
১২. হাতে টাকা থাকুক বা না থাকুক, কোন কিছু
পছন্দ হলে তা অপ্রয়োজনীয় হলেও কিনতে হবে।
১৩. কেউ কোন উপকার করলে তার শুকরিয়া আদায়
করে না। বিশেষত: ঘরের বউ-ঝিরা প্রশংসার যোগ্য কোন কাজ করলেও শাশুড়ি কিংবা
ননদরা তার শুকরিয়া আদায় করে না।
১৪. শাশুড়িরা অনেক সময় পুত্রবধূদের কাজের
মেয়ের মত মনে করে, কখনোই নিজের মেয়ের মত মনে করতে পারে না।
১৫. পুত্রবধূরাও শাশুড়িদেরকে নিজ মায়ের মত ভাবতে পারে না। শাশুড়িকে তার
প্রাপ্য অধিকার ও সম্মান থেকে বঞ্চিত করে।
১৬. স্ত্রীরা স্বামীর ইহসান তথা দয়া ও
অনুগ্রহ স্বীকার করতে চায় না।
১৭. স্বামীর স্ত্রীর জন্য পছন্দ করে কোন জিনিস
আনল, কিন্তু ঘটনাক্রমে স্ত্রীর তা পছন্দ হল না, তখন স্ত্রী স্বামীর মুখের
উপর বলে দেয় আমার এটা পছন্দ হয়নি; আমি এটা পরবও না ছুইবও না।
১৮. অনেক সময় টাকা, গহনা ইত্যাদি মূল্যবান
জিনিস বালিশের নিচে বা খোলা যায়গায় রেখে দেয়, পরে হারিয়ে গেলে
পরিবারের নিরাপরাধ লোকদের দোষারোপ করতে থাকে। যা মারাত্বক গুনাহ।
১৯. মহিলাদের মধ্যে কর্মতৎপরতা ও দূরদর্শিতার
বেশ অভাব রয়েছে ; ব্যস্ততার সময়ে কোন কাজ তারা ঝটপট করতে পারে না;
গতিমন্থরতা যেন তাদের একটা অংশ।
২০. দুই ব্যক্তি কোন বিষয়ে আলাপ করতে থাকলে
অনেক মহিলা অযাচিতভাবে সেই কথায় অংশগ্রহণ করে এবং পরামর্শ দিতে থাকে।
২১. কোন কোন মহিলা মেয়েমহল থেকে এসে অন্য মহিলাদের অলংকার, শারীরিক গঠন,
রূপ, পোশাক ইত্যাদির বর্ণনা নিজ স্বামীর কাছে করে থাকে।
২২. কারো সাথে কথা বলার প্রয়োজন হলে সে যত
জরুরী কথা বা কাজেই লিপ্ত থাকুক না কেন সে দিকে খেয়াল না করে সে নিজের কথা
বলবেই, ঐব্যক্তির কাজ বা কথা শেষ হওয়ার অপেক্ষা করে না।
২৩. কেউ কিছু বললে পূর্ণ মনোযোগ সহকারে
কথাগুলো শোনে না; এর মাঝে অন্য কাজ করতে থাকে বা ফাঁকে ফাঁকে কারো কথার
উত্তর দিতে থাকে
২৪. নিজের ভুল-ত্রুটি পূর্ণ মনোযোগ করতে চায়
না। বরং যথাসম্ভব কথার ফুলঝুরি দিয়ে দোষ চাপা দিতে চায়; চাই তার কথার
মধ্যে যুক্তি থাক বা না থাক।
২৫. কোন কথা বা সংবাদ বলতে গেলে অসম্পূর্ণ বলে
থাকে, যদ্দরুন ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয় এবং আসল কাজ ব্যাহত হয়।
২৬. এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার বা আসার সময় অনেক মহিলা অবশ্যই
একটু কাঁদবে।
২৭. অলসতাবশত: ফরয গোসল করতে দেরি করা
মেয়েদের একটা চিরাচরিত অভ্যাস।
২৮. বর্তমান আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিতা মেয়েরা
উযু গোসল সম্পর্কীয় মাসআলা মাসায়েল ও জানে না।
২৯. অনেক বোকা মহিলা স্বামীর কর্মস্থান থেকে
ফেরার সাথে সাথে তাকে শান্তি পৌঁছানোর পরিবর্তে, তার কানে সংসারের কলহ
বিবাদের কথা পৌঁছায়।
৩০. অনেক ননদ ভাই বৌদের সহ্য করতে পারে না,
এমনিভাবে আনেক ভাই বৌ ননদদের সহ্য করতে পারে না।
৩১. অনেক মেয়েলোক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার
ব্যপারে উদাসীন থাকে।
৩২. কোন সন্তানকে হয়ত বেশী মহব্বত করে তার
জন্য অনেক কিছু করে , এমনকি তার দোষ সহ্য করতে চায় না।
৩৩. অনেক মহিলা রোগ শোক চাপা দিয়ে রাখে, কাউকে বলে না।
৩৪. অনেক শিক্ষিতা মহিলা স্বামীর ঘরে আল্লাহ
প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করার চেয়ে বাইরে গিয়ে চাকুরী করাকে বেশি পছন্দ
করে।
No comments:
Post a Comment