দ্বীনি দা‘ওয়াতের মধ্যে অসংখ্য ফায়দা রয়েছে। শিরোনামের আয়াতে স্বয়ং আল্লাহ রাব্বূল আলামীন একটি জবরদস্ত ফায়দার কথা ঘোষণা করেছেন যে, এ দ্বীনি দা’ওয়াতের মাধ্যমে “তোমরা ঈমানকে পরিপুর্ণ করে নিবে”। এর দ্বারা বুঝা গেল, দ্বীনি দা‘ওয়াতের মুখ্য উদ্দেশ্য ও গুরুত্বপূর্ণ ফায়দা হচ্ছে-ঈমানের তারাক্কী ও উন্নতি এবং আল্লাহর শক্তি ও কুদরতের উপর অটল ও অবিচল বিশ্বাস অর্জন। বলা বাহুল্য, আজ সারাবিশ্বে সোয়া‘শ কোটি মুসলমান বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও তারা কাফিরদের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত ও তাদের তরয তরীকার অন্ধ অনুসারী এবং তাদের দুয়ারের ভিখারী সেজেছে। আজ মুসলমানগণ বিধর্মীদের শিক্ষা, চাল-চলন, সমাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতির মধ্যে কামিয়াবী দেখছে। মুসলমানরা আজ বিধর্মীদের হাতে মার খাচ্ছে, অপমানিত ও লাঞ্ছিত হচ্ছে এসব কিছুর মূল কারণ হচ্ছে-তাদের ঈমানী দুর্বলতা । আজ মুসলমানদের দুষ্টি খোদায়ী শক্তি থেকে সরে গিয়ে মাখলুকের শক্তির উপর নিবদ্ধ । তাই তারা হয়ে পড়েছে খোদায়ী সাহায্য থেকে বঞ্চিত । (আল-ই‘তিদাল ফী মারাতিবির রিজাল, ৪৫)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে ধরনের ঈমানের বলে বলীয়ান করে সাহাবীগণকে রেখে গিয়েছিলেন, যাঁদের মুষ্টিমেয় সংখ্যা সারাবিশ্বকে কাঁপিয়ে তুলেছিল, যাঁদের ভয়ে সে যামানার পরাশক্তি রোম ও পারস্য শত শত মাইল দূরে থেকেও কম্পিত ছিল, সেই ধরনের ঈমানী শক্তিওয়ালা মুসলমানদের সংখ্যা এখন পৃথিবীতে খুবই নগন্য। মুসলমান জাতি যতদিন পর্যন্ত এ বাস্তব জিনিসঢি অনুধাবন করে তাদের এই ঈমানী দুর্বলতা বিদূরিত করতে সক্ষম না হবে, ততদিন পর্যন্ত তাদের অধঃপতন এবং লাঞ্ছনা-গঞ্জনা ভোগ করতেই হবে । কোন তন্ত্র-মন্ত্র, কোন প্রোগ্রাম আর পরিকল্পনা তাদেরকে এ অসহায়ত্ব থেকে উদ্ধার করে বিশ্বের বুকে ইজ্জতের আসনে বসাতে পারবে না । এ সমস্যার একমাত্র সমাধান এই যে, আজ যখন দ্বীন ইসলাম ও আমল সম্বন্ধে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা ও প্রচেষ্টা চলছে, তখন সর্বাধিক গুরুত্ব সহকারে তাদেরকে ঈমানী তারাক্কীর ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে । এর জন্য সময় বের করতে হবে। আল্লাহর ঘরে এসে দ্বীনি পরিবেশে নিজেকে শামিল করে ঈমানের আলোচনা শুনতে হবে, করতে হবে এবং মানুষের দিলের ময়দানে ঈমানের দা‘ওয়াত নিয়ে ফিরতে হবে । আর তখনই আল্লাহর রহমত শামিলে হাল হয়ে তাদের মজবুত ঈমান নসীব হবে ।
আজ সাধারণভাবে ঈমান শিক্ষার এবং ঈমান পরিপক্ক করার বিষয়টি চরমভাবে অবহেলিত ! এমন কি যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা দ্বীনের উচ্চ কাতারে শামিল রেখেছেন , তাদের অনেকেই এ বিষয়টি-কে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে উপলব্ধি করতে সক্ষম হন না বা চান না । তারা মনে করেন, আমরা তো মু‘মিন আছিই , এর জন্য আবার মেহনত কেন করতে হবে? কিন্তু তারা যদি এ ময়দানে নেমে কিছুদিন মেহনত করতেন, তখন অবশ্যই তাদের চক্ষু খুলে যেত, বাস্তবিক পক্ষেই তারা ভুলের ভিতরে ছিলেন । ঈমান শিক্ষার মেহনতকে তারা যতটুকু মনে করছেন , বস্তুত্ব তা কেবল ততটুকু নয়, বরং ঈমানের পূর্ণতা হাসিলের জন্য যথেষ্ট ত্যাগ, কুরবানী এবং এক জবরদস্ত মেহনতের প্রয়োজন রয়েছে।
হযরত মাওলানা ইলিয়াস (রহঃ) বলেন “উপরে উল্লেখিত আয়াতের শেষে যে বলা হয়েছে, ‘আর তোমরা আল্লাহর উপর ঈমান রাখবে’ এর অর্থ নতুন করে ঈমান আনয়ন করা নয়। কারণ, এই আয়াতে যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তা মুমিনদেরকে লক্ষ্য করেই দেয়া হয়েছে । কাজেই ঈমান তো তাদের পূর্ব থেকেই আছে । তাই পুনরায় নুতন করে যে ঈমানের কথা বলা হচ্ছে, তার অর্থ ঈমানের পূর্ণতা অর্জন বৈ অন্য কিছু নয় ।” । (মালফুজাত :৫২)
দ্বীনি দা‘ওয়াতের আরেকটি ফায়দা হলো : এই মেহনত দ্বারা আখিরী যুগের মানুষগণ সাহাবী না হলেও তাদের সাওয়াবের অধিকারী হতে পারেন । রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন : “ নিশ্চয় এই উষ্মতের শেষের দিকে এমন জামা‘আত তৈরি হবে,যারা প্রথম যমানার লোকদের ন্যায় সাওয়াবের অধিকারী হবে তারা সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখবে । আর তারা ফিতনাকারীদের সাথে (হাত দিয়ে বা যবান দিয়ে কিংবা কলম দিয়ে) মুকাবিলা করবে ”। (বাইহাকী শবীফ)
অপরদিকে দা‘ওয়াতের কাজ ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে হাদীস শরীফে বিভিন্ন রকম ধমকি এসেছে । যেমনঃ বুযুর্গদের দু‘আ কবুল না হওয়া , ওহীর বরকত থেকে মাহরূম হওয়া এবং গুনাহের কারণে ভালমন্দ সকল শ্রের্ণীর লোকদের আল্লাহর গজবে পতিত হওয়া ইত্যাদি । (ফাযায়িলে তাবলীগ , ২৮১)
দা‘ওয়াতের আরেকটি ফায়দা সম্পর্কে হযরত মাওলানা ইলিয়াস (রঃ) বলেন , দ্বীনি দা‘ওয়াতের মেহনত দ্বারা মানুষদের মধ্যে দ্বীনের তলব ও চাহিদা এবং দ্বীনের ক্বদর ও গুরুত্ব পয়দা হয় । এর দারা মানুষদের ঈমান তাজা হয় । ( মালফুজাত ৭৭)
হযরত মাওলানা ইলিয়াস (রহঃ)-এর উক্ত কথাটি এমন বাস্তব, যা ব্যাখ্যার কোন প্রয়োজনই রাখে না । প্রত্যেক চক্ষুস্মান লোক দেখতে পাবেন যে আজ এই দা‘ওয়াতের মেহনতের কারণে লাখো কোটি অবুঝ, বদদ্বীন,ইংরেজি শিক্ষিত মডার্ণ লোক এমন কি দ্বীনের নাম শুনতে অপ্রস্তুত এমন লোকেরাও দ্বীনের আহকাম সমূহ পূরোপুরিভাবে গ্রহণ করে দ্বীনদারীর সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন । তারা পিছনের জিন্দেগীর উপর অনুতপ্ত হয়ে পূর্ণ দ্বীনদারীর উপর চলার জন্য আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন । নিজের ছেলে মেয়েদেরকে দুনিয়াবী পেটভোজী শিক্ষায় শিক্ষিত না করে আল্লাহ ও তার রাসূলের কালাম শিক্ষার জন্য কওমী মাদ্রাসায় হক্কানী আলেম বানিয়ে দ্বীনের খিদমতের জন্য সর্বোতভাবে ওয়াকফ করছেন । পাশাপাশি নিজেরাও মহান আল্লাহর নির্দেশ, “তোমরা আমার কালামকে সহীহভাবে তিলাওয়াত কর ।” (সূরা :মুয্যাম্মিল-৪) এর নির্দেশ পালন করার লক্ষ্যে আল্লাহর কালাম সহীহ শুদ্ধ করে পড়ার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন । কারণ, সীনার মধ্যে সহীহ কুরআন থাকা ফরজ। তা না হলে, নামায সহীহ হবে না । তা ছাড়া এই সহীহ কুরআন তিলাওয়াত হিদায়াতের উপর থাকার জন্য রক্ষাকবচ । (সূরাঃ বনী ইসরাইল, ৯)
এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যার সীনার মধ্যে সহীহ কুরআন নেই, তার সেই সীনা বিরান এবং পতিত বাড়ির ন্যায় । (তিরমিযী,হাঃনং-২৯১৩,দারিমী হাঃনং-৩৩০৬ ) অর্থাৎ পতিত বাড়ি যেমন ইঁদুর, সাপ, বিচ্ছু, শিয়াল, কুকুর আর জিন-ভুতের আড্ডাখানা হয়, তদ্রূপ তার সীনাও খাহিশাত, শয়তান আর নফসে আম্মারার কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয় । (আল্লাহ তা‘আলার মেহেরবাণী যে, তিনি বিজ্ঞান ও কস্পিউটারের যুগে নূরানী পদ্ধতিতে মাত্র ২৫ দিনে ২৫ ঘন্টায় কুরআনে কারীমের সাথে সম্পর্ক সুষ্টির ব্যবস্হা করে দিয়েছেন ।)
পাশাপাশি তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নির্দেশ “ইলমে দ্বীন শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ”,(ইবনে মাজা হাঃনং-২২৪, শু‘আবুল ঈমান,হাঃনং-১৬৬৬) এ হ্যদীসের নির্দেশ পালন করতঃ নামায-রোজা, হালাল-হারামসহ দৈনন্দিন জিন্দেগীর জরুরী মাসায়িল জানার জন্য হাক্কানী উলামাগণের সাথে যোগাযোগ রেখে ইলমে দ্বীন শিক্ষার ফরজিয়্যাত আদায় করছেন । এভাবে কুরআন -হাদীসের আহকাম শিখছেন ।
তৃতীয়তঃ তাদের অনেকে আল্লাহর নির্দেশ, “ঐ সমস্ত মুমিনগণ কামিয়াবী অর্জন করেছে, যারা নিজেদের কলব থেকে খারাপ খাসলত গুলো দূর করে ভাল ণ্ডণাবলী হাসিল করতঃ আত্মঅদ্ধি অর্জন করে নিয়েছে । ” ( সূরা : শামস, ৯) এ আয়াতের উপর আমল করে কোন হক্কানী বুজুর্গের সোহবতে থেকে বিরাট সাফল্য অর্জন করেছেন ।
উল্লেখ্য যে, শারীরিক রোগের চিকিৎসার জন্য শরীয়ত নির্দেশ দিয়েছে বটে, কিন্তু চিকিৎসা করা ফরজ করেনি । বরং সুন্নত সাব্যস্ত করেছে । কিন্তু অপরদিকে ক্বলবের রোগ অহংকার, রিয়া, হিংসা, না-শোকরী, বে-সবরী ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা শরীয়তের দৃষ্টিতে ফরজ । (মা‘আরিফুল কুরআন ১: ৩৩৫)। এ আধ্যাত্মিক রোগ সমূহ দুর করা এত জরুরী যে, এর ব্যতিরেকে মানুষের সমস্ত জিন্দেগীর আমল বরবাদ হয়ে যেতে পারে তাই তো মেহেরবান আল্লাহ তা‘আলা যমীনের বুকে সকল যমানায়ই তাঁর অনেক বুজুর্গ বান্দাদের তৈরি করেছেন, যারা মুজাহাদার দ্বারা মানুষদের অন্তর থেকে ঐ সব রোগসমূহ দূরীভূত করিয়ে তার স্হানে নম্রতা, খুলুসিয়্যত, সবর, শোকর ইত্যাদি ভাল ণ্ডণ অর্জন করানোর খিদমত আনজাম দিয়ে থাকেন ।
মোদ্দাকথা, দা‘ওয়াতের কারণে মানুষের মধ্যে দ্বীনের তলব ও ক্বদর হওয়ার পর তারা ক্বারী সাহেবের নিকট গিয়ে সহীহ কুরআন পড়া শিখে, হক্কানী উলামাগন থেকে মাসায়িল শিখে এবং হাক্কানী পীর থেকে আত্মশুদ্ধি করিয়ে নেয় । আর এভাবে সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর গোটা তা‘লীম ও প্রোগামকে বাস্তবায়ন করে থাকে ।পবিত্র কুরআনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ত্রিমূখী দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে যে, তিনি (রাসূলুল্লাহ) লোকদেরকে কুরআন পাঠ করে শোনান , তাদের আত্মশুদ্ধি করান এবং তাদেরকে কুরআন ও হাদীসের আহকাম শিক্ষা দেন । ” ( সুরা : জুমু‘আ-২)
সুতরাং যারা দ্বীনের দা‘ওয়াতের কাজ আনজাম দিচ্ছেন , তাদের জিম্মাদারী হবে দ্বীনের দা‘ওয়াতের সাথে সাথে দ্বীনের অবশিষ্ট বুনিয়াদী জিনিস গুলো হাসিল করার ব্যাপারে তৎপর থাকা। কারণ, যে দ্বীনের দা‘ওয়াত তারা দিচেছন, সে দ্বীনের উপর পূর্ণ ভাবে চলাই মুমিনের ফরজ। এজন্যই ছয় নম্বরের ভিতরে বলা হয় যে, এ ছয়ঢি বিষয়ের উপর আমল করতে পারলে পুরা দ্বীনের উপর চলা ও আমল করা সহজ হয়ে যায়। তাহলে বুঝা গেল পুরা দ্বীনের উপর চলার ফিকির রাখা জরুরী , আর এজন্যই বলা হয়েছে দ্বীনি দা‘ওয়াতের সাথে সাথে প্রত্যেকের জন্য আল্লাহর কালাম সহীহ শুদ্ধ করে পড়ার ফিকির থাকতে হবে । তেমনিভাবে সকল ব্যাপারে মাসআলা-মাসায়িল জানার জন্য হক্কানী উলামায়ে কিরামের সাথে যোগাযোগ রাখা এবং নিজের আত্মশুদ্ধির জন্য হাক্কানী বুর্যুগদের সাথে সম্পর্ক রেখে তাদের নিকট নিজের অবস্থা জানাতে থাকা পূর্ণ দ্বীনের উপর চলার জন্য অপরিহার্য। এ গুলো থেকে উদাসীন থেকে পূর্ণ দ্বীনের উপর চলা কখনও সম্ভব নয়।
সত্যিকার অর্থে যখন এ ধরণের ঈমান/আমল ওয়ালা পর্যাপ্ত পরিমাণ লোক তৈরি হবে, তখনই আল্লাহ তা‘লা মুসলমানদেরকে দুনিয়ার রাজত্ব দান করবেন ।যেমন -কুরআনে শরীফে ওয়াদা করা হয়েছে । (সূরাহ : নূর, ৫৫)
পরিশেষে সকল শ্রেণীর মুসলমান ভাইদের খিদমতে আরয, আজ সারা বিশ্বে দা‘ওয়াত ও তাবলীগের নামে যে মেহনত চলছে, সেই মেহনতের সাথে যতদূর সম্ভব নিজেকে জুড়ে জামা‘আতের সহযোগিতা করতে থাকুন। অবশ্য দ্বীনী দা‘ওয়াতের আরো পদ্ধতি আছে, যেমন-হযরত মাওলানা যাকারিয়া (রঃ) ফাযায়িলে তাবলীগে (পৃষ্ঠা ২১৭) উল্লেখ করেছেন “ওয়াজ নসীহত,মাদ্রাসার তা‘লীম, মুজাহিদের জিহাদ মুআজ্জিনের আজান এগুলোও দ্বীনের দা‘ওয়াতের মধ্যে শামিল। হযরত থানবী (রহঃ)-এর “দাওয়াতুল হক”, হযরত মাওলানা শামসুল হক ফরিদপূরী (রহঃ)-এর খাদিমুল ইসলাম জামা‘আত, দরসে নেজামীর সকল মাদ্রাসার তালীম, নূরানী টেনিং, ওয়ায়েজগণের ওয়াজ, রাজনৈতিক ময়দানে ইসলামের জন্য সহী আন্দোলনকারীদের আন্দোলন-এ সবই দা‘ওয়াতের মেহনতের মধ্যে শামিল । সুতরাং এগুলোকে ছোট করে দেখা যাবে না । প্রচলিত দা‘ওয়াত ও তাবলীগের দ্বীনি কাজগুলোর ও যথাসাধ্য সহযোগিতা করতে হবে । এ কথা মনে রাখতে হবে যে , সকলের মেহনতই এক এক লাইনের দ্বীনী মেহনত। প্রত্যেকঢিই দ্বীনের একেকটি অংশ । সবণ্ডলি মিলেই পূর্ণাঙ্গ দ্বীন এবং সকল মেহনতের সমষ্টিই পরিপূর্ণ দ্বীনি মেহনত। কারণ, কোন একক জা‘মাআত এমন নেই যে, তারা দ্বীনের সকল লাইনের খিদমত আঞ্জাম দিচ্ছেন। বরং এক এক জমা‘আতকে দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা এক এক লাইনের খিদমত নিচ্ছেন । যেমন একটি বিল্ডিং তৈরিতে এক এক জন এক এক লাইনের মেহনত করছে । কেউ ইঞ্জিনিয়ার,কেউ রড মিস্ত্রী,কেউ রাজমিস্ত্রী কেউ জোগালী ইত্যাদি। সকলের সমম্বিত মেহনতেই বিল্ডিং তৈরি হবে। সুতরাং সকল প্রকার দ্বীনি জামা’আত দ্বীনের খিদমত করে যাচ্ছেন। তাদের সকলকে সহায়তা ও সমর্থন করা। এভাবে দ্বীনের সকল খাদিমগণের মধ্যে এক অভূতপূর্ব সৌহার্দপূর্ণ জোড়, সষ্পর্ক ও ভালবাসা সৃষ্টি হবে । এতে দ্বীনের কাজ পরিপূর্ন গতিশীল ও ব্যাপক হবে ।
- শাইখুল হাদীস আল্লামা মুফতী মনসূরুল হক (দা:বা:)জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া, মুহাম্মাদপুর-ঢাকা।
No comments:
Post a Comment