আল্লাহ সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে একটা জিনিসই চাচ্ছেন। আর তা হল সাহাবায়ে কেরামের মত ঈমান। আর সাহাবায়ে কেরামের ঈমান কেমন ছিল? তাদের ঈমানের অবস্থা এমন ছিল যে, ঈমানের জন্য নিজের সব কিছু কোরবান করে দিয়েছেন। তাই ঈমানের মূল্য তাদের কাছে দুনিয়ার সমস্ত ধন-সম্পদের চেয়ে বেশী ছিল। ঈমানের সামনে তাদের কাছে একটি দেশ কেন, পুরো দুনিয়ার রাজত্বও বড় তুচ্ছ ছিল।
হযরত আব্দুল্লাহ বিন হোযায়ফা রাযি.কে কাফের বাদশা বলেছিল, তুমি ঈমান ছেড়ে দাও। আমি আমার বিশাল রাজত্বের অর্ধেক দিয়ে দেব। মুহূর্ত দ্বিধা না করে হযরত আব্দুল্লাহ তখন বলেছিলেন, তোমার এই বিশাল রাজত্বের অর্ধেক কেন, পুরোটার চেয়ে ঈমানের মূল্য আমার কাছে অনেক বেশী।
তারপর বাদশা তার সাথিদেরকে গরম তেলে ফেলে দিল। হযরত আব্দুল্লাহ পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন। বাদশাকে জানানো হলে বাদশা বলল, তুমি হয়ত ভয় পেয়েছো। তুমি যদি চাও আমার পূর্বের প্রস্তাব গ্রহণ করতে পার। আমি তো আমার হুকুম কখনো পরিবর্তন করি না। শুধু তোমাকে আমি আবার সুযোগ দিচ্ছি। আবার ভেবে দেখো।
গর্জে ওঠে তাচ্ছিল্যের সাথে হযরত আবদুল্লাহ ঘোষণা করলেন, ও বাদশা! মনে রেখো, তোমরা যে জিনিসের জন্য লালায়িত হয়ে আছো আমরা সে জিনিসের জন্য লালায়িত নই। তোমরা কাঁদো এক জিনিসের জন্য, আর আমরা কাঁদি অন্য জিনিসের জন্য। তোমরা কাঁদো দুনিয়ার সসীম জীবনের জন্য, আর আমরা কাঁদি আখেরাদের অসীম জীবনের জন্য।
তাই আমার কান্নার কারণ তোমাকে বলে লাভ নেই। কারণ তোমরা তো উজান পথের পথিক। তাই তোমরা যা পেয়ে হাসতে পারো আমরা তা পেয়ে কাঁদি। আর তোমরা যে বিষয়ে কাঁদো তাতে আমরা সুখ অনুভব করি। তোমরা কারো বাড়ি জ্বালাতে পারলে উল্লাস করো, আর আমরা কারো বাড়ির জ্বলন্ত আগুন নেভাতে পারলে আনন্দবোধ করি। তোমরা কারো সম্পদ নিজের পকেটে ঢোকাতে পারলে আনন্দবোধ করো, আর আমরা হারিয়ে যাওয়া কারো সম্পদ ফিরিয়ে দিতে পারলে আনন্দবোধ করি। তাই তোমাদের পথ ও গন্তব্য এক দিকে, আর আমাদের পথ ও গন্তব্য অন্য দিকে।
তবে শুনে রাখো, আমি কেন কাঁদছিলাম। আজ আমার সামনে দ্বীনের জন্য নিজের জানকে কোরবানি করার সুযোগ এসেছে। যদি আমার মাঝে শরীরের লোম পরিমাণ জান থাকত, আর আমি সবগুলো জান এক এক করে আল্লাহর জন্য কোরবান করতে পারতাম তাহলে কত ভাল হত! কেয়ামতের দ্বীন আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে বলতে পারতাম, ও আল্লাহ! আমাকে আপনি এতগুলো জান দিয়েছিলেন, আর আমি এসব আপনার জন্য কোরবান করেছি!
হযরত আব্দুল্লাহ বিন হোযায়ফা রাযি.কে কাফের বাদশা বলেছিল, তুমি ঈমান ছেড়ে দাও। আমি আমার বিশাল রাজত্বের অর্ধেক দিয়ে দেব। মুহূর্ত দ্বিধা না করে হযরত আব্দুল্লাহ তখন বলেছিলেন, তোমার এই বিশাল রাজত্বের অর্ধেক কেন, পুরোটার চেয়ে ঈমানের মূল্য আমার কাছে অনেক বেশী।
তারপর বাদশা তার সাথিদেরকে গরম তেলে ফেলে দিল। হযরত আব্দুল্লাহ পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন। বাদশাকে জানানো হলে বাদশা বলল, তুমি হয়ত ভয় পেয়েছো। তুমি যদি চাও আমার পূর্বের প্রস্তাব গ্রহণ করতে পার। আমি তো আমার হুকুম কখনো পরিবর্তন করি না। শুধু তোমাকে আমি আবার সুযোগ দিচ্ছি। আবার ভেবে দেখো।
গর্জে ওঠে তাচ্ছিল্যের সাথে হযরত আবদুল্লাহ ঘোষণা করলেন, ও বাদশা! মনে রেখো, তোমরা যে জিনিসের জন্য লালায়িত হয়ে আছো আমরা সে জিনিসের জন্য লালায়িত নই। তোমরা কাঁদো এক জিনিসের জন্য, আর আমরা কাঁদি অন্য জিনিসের জন্য। তোমরা কাঁদো দুনিয়ার সসীম জীবনের জন্য, আর আমরা কাঁদি আখেরাদের অসীম জীবনের জন্য।
তাই আমার কান্নার কারণ তোমাকে বলে লাভ নেই। কারণ তোমরা তো উজান পথের পথিক। তাই তোমরা যা পেয়ে হাসতে পারো আমরা তা পেয়ে কাঁদি। আর তোমরা যে বিষয়ে কাঁদো তাতে আমরা সুখ অনুভব করি। তোমরা কারো বাড়ি জ্বালাতে পারলে উল্লাস করো, আর আমরা কারো বাড়ির জ্বলন্ত আগুন নেভাতে পারলে আনন্দবোধ করি। তোমরা কারো সম্পদ নিজের পকেটে ঢোকাতে পারলে আনন্দবোধ করো, আর আমরা হারিয়ে যাওয়া কারো সম্পদ ফিরিয়ে দিতে পারলে আনন্দবোধ করি। তাই তোমাদের পথ ও গন্তব্য এক দিকে, আর আমাদের পথ ও গন্তব্য অন্য দিকে।
তবে শুনে রাখো, আমি কেন কাঁদছিলাম। আজ আমার সামনে দ্বীনের জন্য নিজের জানকে কোরবানি করার সুযোগ এসেছে। যদি আমার মাঝে শরীরের লোম পরিমাণ জান থাকত, আর আমি সবগুলো জান এক এক করে আল্লাহর জন্য কোরবান করতে পারতাম তাহলে কত ভাল হত! কেয়ামতের দ্বীন আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে বলতে পারতাম, ও আল্লাহ! আমাকে আপনি এতগুলো জান দিয়েছিলেন, আর আমি এসব আপনার জন্য কোরবান করেছি!
মেহনত না করাই আমাদের কাছে ঈমানের মূল্য না থাকার কারণ
মুহতারাম দোস্ত ও বুজুর্গ!
সাহাবায়ে কেরামের কাছে ঈমানের এমনই মূল্য ছিল। আর আজ আমাদের কাছে ঈমান এতটাই সস্তা হয়ে গেছে যে, একটি মাত্র কাপড়ের বিনিময়ে আমরা ঈমানকে বিক্রি করে ফেলছি। গ্রামের পর গ্রামের মাত্র পাঁচশত টাকার বিনিময়ে নিজেদের ঈমানকে বিক্রি করে দিচ্ছে।
সাহাবায়ে কেরামের কাছে ঈমানের এত মূল্য থাকার আর আমাদের কাছে মূল্য না থাকার কী রহস্য ?
এর কারণ শুধু একটাই। সেটা হল, সাহাবায়ে কেরাম ঈমানকে মেহনত করে শিখেছেন। আর আমরা ঈমানের জন্য মেহনত করিনি। তাই আমরা ঈমানের জন্য সময় বের করতে পারি না। নিজেদের কাজ-কর্ম ছেড়ে আল্লহর রাস্তায় বের হতে পারছি না। আমরা যদি তাদের মত মেহনত আর কোরবানি করতে পারি তাহলে আমাদের কাছেও ঈমানের মূল্য তাদের মতই মনে হবে। আল্লাহর রাস্তায় সাহাবায়ে কেরামের মত সময় দেয়া আমাদের জন্য সহজ হয়ে যেত।
মুহতারাম দোস্ত ও বুজুর্গ!
সাহাবায়ে কেরামের কাছে ঈমানের এমনই মূল্য ছিল। আর আজ আমাদের কাছে ঈমান এতটাই সস্তা হয়ে গেছে যে, একটি মাত্র কাপড়ের বিনিময়ে আমরা ঈমানকে বিক্রি করে ফেলছি। গ্রামের পর গ্রামের মাত্র পাঁচশত টাকার বিনিময়ে নিজেদের ঈমানকে বিক্রি করে দিচ্ছে।
সাহাবায়ে কেরামের কাছে ঈমানের এত মূল্য থাকার আর আমাদের কাছে মূল্য না থাকার কী রহস্য ?
এর কারণ শুধু একটাই। সেটা হল, সাহাবায়ে কেরাম ঈমানকে মেহনত করে শিখেছেন। আর আমরা ঈমানের জন্য মেহনত করিনি। তাই আমরা ঈমানের জন্য সময় বের করতে পারি না। নিজেদের কাজ-কর্ম ছেড়ে আল্লহর রাস্তায় বের হতে পারছি না। আমরা যদি তাদের মত মেহনত আর কোরবানি করতে পারি তাহলে আমাদের কাছেও ঈমানের মূল্য তাদের মতই মনে হবে। আল্লাহর রাস্তায় সাহাবায়ে কেরামের মত সময় দেয়া আমাদের জন্য সহজ হয়ে যেত।
মসজিদে একত্র হওয়া ছাড়া ঈমানী তারাক্কীর কোন পথ নেই
মাওলানা ইউসুফ সাহেব রহ. বলতেন, উম্মতকে মসজিদে নিয়ে এসো। মসজিদে একত্র হওয়া ছাড়া এই উম্মতের ঈমানী তারাক্কীর কোন পথ নেই। উম্মত আজো একত্র হয়। সাধারণ থেকে সাধারণ বিষয়ে উম্মত একত্র হয়। কারো ওলিমার জন্য, কারো জন্মদিনের জন্য, এমনকি কারো মুসলমানির জন্যও উম্মত একত্র হয়। উম্মত কখনো পার্কে, কখনো মিলনায়তনে, আবার কখনো ফাইভ স্টার হোটেলেও একত্র হয়। বড় আফসোসের বিষয়, উম্মত সবকিছুর জন্য একত্র হয়, কেবল একত্র হতে চায় না ঈমানের উন্নতির জন্য, পুরো উম্মতের হেদায়াতের জন্য।
মাওলানা ইউসুফ সাহেব রহ. বলতেন, উম্মতকে মসজিদে নিয়ে এসো। মসজিদে একত্র হওয়া ছাড়া এই উম্মতের ঈমানী তারাক্কীর কোন পথ নেই। উম্মত আজো একত্র হয়। সাধারণ থেকে সাধারণ বিষয়ে উম্মত একত্র হয়। কারো ওলিমার জন্য, কারো জন্মদিনের জন্য, এমনকি কারো মুসলমানির জন্যও উম্মত একত্র হয়। উম্মত কখনো পার্কে, কখনো মিলনায়তনে, আবার কখনো ফাইভ স্টার হোটেলেও একত্র হয়। বড় আফসোসের বিষয়, উম্মত সবকিছুর জন্য একত্র হয়, কেবল একত্র হতে চায় না ঈমানের উন্নতির জন্য, পুরো উম্মতের হেদায়াতের জন্য।
হযরত সালেম -যিনি হযরত ওমরের নাতি- তাকে ঐ যুগের বাদশা একদিন জিজ্ঞাসা করলেন, আপনার কোন প্রয়োজন থাকলে বলুন। আমি চেষ্টা করব আপনার সামান্য খেদমত করতে? বড় আস্থার সাথে বললেন, আল্লাহর ঘরের সামনে বসে আপনার কাছে চাইতে বড় লজ্জা হয়।
খলিফা সুলায়মান বিন আ. মালেক অপো করতে লাগলেন। একটু পরে যখন হযরত সালেম বাইতুল্লাহ থেকে বের হলেন তখন বাদশা আবার বলল, এবার বলুন। এখন তো আর আপনি বাইতুল্লাহর সামনে নেই।
হযরত সালেম বললেন, আপনি আমার কোন প্রয়োজন পূর্ণ করবেন? দুনিয়ার না আখেরাতের? বাদশা বললেন, আখেরাতের প্রয়োজন তো আর আল্লাহ ছাড়া কেউ পূর্ণ করতে পারবে না। দুনিয়ার প্রয়োজনের েেত্র আমি চেষ্টা করতে পারি।
হযরত সালেম বললেন, দুনিয়ার প্রয়োজনের জন্য তো আল্লাহর কাছে চাইতেও লজ্জা হয়। তাহলে আপনার কাছে আমি কিভাবে চাইতে পারি?
খলিফা সুলায়মান বিন আ. মালেক অপো করতে লাগলেন। একটু পরে যখন হযরত সালেম বাইতুল্লাহ থেকে বের হলেন তখন বাদশা আবার বলল, এবার বলুন। এখন তো আর আপনি বাইতুল্লাহর সামনে নেই।
হযরত সালেম বললেন, আপনি আমার কোন প্রয়োজন পূর্ণ করবেন? দুনিয়ার না আখেরাতের? বাদশা বললেন, আখেরাতের প্রয়োজন তো আর আল্লাহ ছাড়া কেউ পূর্ণ করতে পারবে না। দুনিয়ার প্রয়োজনের েেত্র আমি চেষ্টা করতে পারি।
হযরত সালেম বললেন, দুনিয়ার প্রয়োজনের জন্য তো আল্লাহর কাছে চাইতেও লজ্জা হয়। তাহলে আপনার কাছে আমি কিভাবে চাইতে পারি?
আল্লাহর কাছে কী চাইতে হবে?
মুহতারাম দোস্ত ও বুজুর্গ!
আল্লাহর কাছে কী চাইতে হবে সাহাবায়ে কেরাম তা খুব ভাল করে বুঝতেন। তাই তারা আল্লাহর কাছে আখেরাতকেই চাওয়ার বিষয় মনে করতেন। আর আমরা তো দোয়ায় হাত তুললেই শুধু দুনিয়ার ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতি এবং টাকা-পয়সার প্রয়োজনের কথা বলতে থাকি।
তো এ কথার উদ্দেশ্য এই নয় যে, দুনিয়ার বিষয়ে দোয়া করা যাবে না, বরং উদ্দেশ্য হল, দোয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব দোয়া যেন কেবল দুনিয়ার বিষয়েই না হয়। বরং বেশির ভাগ দোয়া যেন আখেরাতের জন্যই হয়।
মুহতারাম দোস্ত ও বুজুর্গ!
আল্লাহর কাছে কী চাইতে হবে সাহাবায়ে কেরাম তা খুব ভাল করে বুঝতেন। তাই তারা আল্লাহর কাছে আখেরাতকেই চাওয়ার বিষয় মনে করতেন। আর আমরা তো দোয়ায় হাত তুললেই শুধু দুনিয়ার ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতি এবং টাকা-পয়সার প্রয়োজনের কথা বলতে থাকি।
তো এ কথার উদ্দেশ্য এই নয় যে, দুনিয়ার বিষয়ে দোয়া করা যাবে না, বরং উদ্দেশ্য হল, দোয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব দোয়া যেন কেবল দুনিয়ার বিষয়েই না হয়। বরং বেশির ভাগ দোয়া যেন আখেরাতের জন্যই হয়।
বদর ও খন্দকের আল্লাহ এখনো আছেন!
মুহতারাম দোস্ত ও বুজুর্গ!
এভাবে উম্মত যদি আবার সাহাবায়ে কেরামের মত নিজেদের মধ্যে এবং দুনিয়ার মানুষের মধ্যে ঈমান মেহনত করে ঈমানের মূল্য বুঝতে পারে তাহলে সে যুগের ফেরাউন, নমরুদ ও হামানের মত নব্য যুগের ফেরাউন, নমরুদ ও হামানের সাথেও আল্লাহ অভিন্ন রকম আচরণ করবেন।
ভাইয়েরা আমার! প্রয়োজন শুধু মুসা এবং ইবরাহিমের মত ঈমানদার হওয়া। এই মজমার সকলে না হোক, কিছু মানুষও যদি তাদের মত হওয়ার চেষ্টা করতে পারে তাহলেও আল্লাহ এ যুগের ফেরাউন, নমরুদ ও হামানের সাথেও আল্লাহ সেই রকম আচরণ করবেন। এতে কোনই সন্দেহ নেই। বদর ও খন্দকের সেই আল্লাহ এখনো আছেন। আছে তার সাহায্য করার শক্তিও। প্রয়োজন শুধু সাহাবায়ে কেরামের মত ঈমানের অধিকারী হওয়া।
এ মজমায় গত দুদিন প্রচণ্ড শীত ছিল। আপনাদের অনেক কষ্ট হয়েছে। কিন্তু ভাইয়েরা আমার! এ শীতল হাওয়াই হতে পারে আমাদের জন্য বড় রহমতের কারণ। খন্দকের ময়দানে আল্লাহ তাদের শীত দিয়ে পরীা করেছিলেন। আর পরীার পরই এসেছিল আল্লাহর গায়বি সাহায্য। আল্লাহ করেন, আমাদের এই মজমায়ও শীতল হাওয়ার পর যেন আসে আল্লাহর গায়বি নুসরত।
এক বাচ্চার ঘটনা। ঈমান আনার পর সে ঈমান শিখতে লাগল। আর ধীরে ধীরে ঈমানের েেত্র দিন দিন উন্নতি করতে লাগল। তখন ঐ এলাকার একজন লোকের চোখ অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সব চিকিৎসা করে এখন সে নিরাশ। তখন সেই ঈমান নিয়ে মেহনত করতে থাকা বাচ্চা আল্লাহর কাছে দোয়া করল। তার দোয়ার ওসিলায় আল্লাহ সেই অন্ধ লোকটার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিলেন। পুরো দেশের মানুষের মাঝে এর ব্যাপক সাড়া জাগল। সবাই বলতে লাগল, এই বাচ্চার রব কত শক্তিশালী! এ বাচ্চার রবই আসল রব। বাদশা বাচ্চাটাকে নিষেধ করলেন এক রবের কথা বলতে। কিন্তু সে নিজ সিদ্ধান্তে অটল।
বাদশা তাকে নিয়ে পেরেশান। সে তাকে পাহাড় থেকে ফেলে এবং নদীতে ডুবিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু সাগর আর নদী তার কথা শোনেনি । তারা শুনেছে মহান আল্লাহ তাআলা ভাইয়েরা আমার ! দুনিয়ার তুচ্ছ বাদশার কষ্টে পাহাড়ের কী আসে যায় ! দুনিয়ার তুচ্ছ বাদশার পেরেশানিতে সাগরের কী আসে যায় ! দুনিয়ার তুচ্ছ বাদশার অসন্তুষ্টিতে চাঁদ আর সূর্যের কী আসে যায় ! পাহাড়-সাগর এবং চাঁদ-সূর্য তো গোলাম ঐ মালিকের যিনি এসবের খালিক ও মালিক।
মুহতারাম দোস্ত ও বুজুর্গ!
এভাবে উম্মত যদি আবার সাহাবায়ে কেরামের মত নিজেদের মধ্যে এবং দুনিয়ার মানুষের মধ্যে ঈমান মেহনত করে ঈমানের মূল্য বুঝতে পারে তাহলে সে যুগের ফেরাউন, নমরুদ ও হামানের মত নব্য যুগের ফেরাউন, নমরুদ ও হামানের সাথেও আল্লাহ অভিন্ন রকম আচরণ করবেন।
ভাইয়েরা আমার! প্রয়োজন শুধু মুসা এবং ইবরাহিমের মত ঈমানদার হওয়া। এই মজমার সকলে না হোক, কিছু মানুষও যদি তাদের মত হওয়ার চেষ্টা করতে পারে তাহলেও আল্লাহ এ যুগের ফেরাউন, নমরুদ ও হামানের সাথেও আল্লাহ সেই রকম আচরণ করবেন। এতে কোনই সন্দেহ নেই। বদর ও খন্দকের সেই আল্লাহ এখনো আছেন। আছে তার সাহায্য করার শক্তিও। প্রয়োজন শুধু সাহাবায়ে কেরামের মত ঈমানের অধিকারী হওয়া।
এ মজমায় গত দুদিন প্রচণ্ড শীত ছিল। আপনাদের অনেক কষ্ট হয়েছে। কিন্তু ভাইয়েরা আমার! এ শীতল হাওয়াই হতে পারে আমাদের জন্য বড় রহমতের কারণ। খন্দকের ময়দানে আল্লাহ তাদের শীত দিয়ে পরীা করেছিলেন। আর পরীার পরই এসেছিল আল্লাহর গায়বি সাহায্য। আল্লাহ করেন, আমাদের এই মজমায়ও শীতল হাওয়ার পর যেন আসে আল্লাহর গায়বি নুসরত।
এক বাচ্চার ঘটনা। ঈমান আনার পর সে ঈমান শিখতে লাগল। আর ধীরে ধীরে ঈমানের েেত্র দিন দিন উন্নতি করতে লাগল। তখন ঐ এলাকার একজন লোকের চোখ অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সব চিকিৎসা করে এখন সে নিরাশ। তখন সেই ঈমান নিয়ে মেহনত করতে থাকা বাচ্চা আল্লাহর কাছে দোয়া করল। তার দোয়ার ওসিলায় আল্লাহ সেই অন্ধ লোকটার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিলেন। পুরো দেশের মানুষের মাঝে এর ব্যাপক সাড়া জাগল। সবাই বলতে লাগল, এই বাচ্চার রব কত শক্তিশালী! এ বাচ্চার রবই আসল রব। বাদশা বাচ্চাটাকে নিষেধ করলেন এক রবের কথা বলতে। কিন্তু সে নিজ সিদ্ধান্তে অটল।
বাদশা তাকে নিয়ে পেরেশান। সে তাকে পাহাড় থেকে ফেলে এবং নদীতে ডুবিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু সাগর আর নদী তার কথা শোনেনি । তারা শুনেছে মহান আল্লাহ তাআলা ভাইয়েরা আমার ! দুনিয়ার তুচ্ছ বাদশার কষ্টে পাহাড়ের কী আসে যায় ! দুনিয়ার তুচ্ছ বাদশার পেরেশানিতে সাগরের কী আসে যায় ! দুনিয়ার তুচ্ছ বাদশার অসন্তুষ্টিতে চাঁদ আর সূর্যের কী আসে যায় ! পাহাড়-সাগর এবং চাঁদ-সূর্য তো গোলাম ঐ মালিকের যিনি এসবের খালিক ও মালিক।
মোজাহাদা ও কোরবানির সাথে ঈমানী মেহনত পূর্ণ করতে হবে
হযরতজি মাওলানা ইউসুফ রহ. বলতেন, দায়ী যখন এই ঈমানি মেহনতকে মোজাহাদা ও কোরবানির সাথে হুসনে মুআশারা ও আখলাকের সাথে পূর্ণ করবে, কেবল আল্লাহর জন্যই এ কাজ করবে, আর এ কাজকে যিন্দেগীর মাকসাদ বানিয়ে করবে তখন তার জীবনও হবে ইসলামের দাওয়াতের জন্য মকবুল জীবন, মৃত্যুও হবে ঈমানী হাওয়া ছড়িয়ে দেয়ার জন্য মৃত্যু। আর তখনই সাহাবায়ে কেরামের মত আমাদের কাছেও দুনিয়ার সব কিছুর চেয়ে ঈমানের মূল্য সবচেয়ে বেশী হবে।
মাওলানা ইউসুফ রহ. বলতেন, আমাদের ঈমান তো হল উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ঈমান। বাবা মুমিন ছিলেন, তাই আমিও মুমিন। তাই আমাদের ঈমান মেহনতের মাধ্যমে অর্জিত নয়। কিন্তু সাহাবায়ে কেরাম মেহনত করে ঈমান শিখেছেন। ুধার কষ্ট সহ্য করেছেন। পোষাক-পরিচ্ছেদের কষ্ট সহ্য করেছেন। তাই সাহাবায়ে কেরামের কাছে ঈমানের মূল্য ছিল। তাদের কেউ ঘর থেকে আসতেন। আর কেউ আসতেন বাজার থেকে। কিন্তু দ্বীনের তাকাজা সামনে আসার পর তাদের সামনে দ্বিতীয় কোন তাকাযা ছিল না। আর এর বিপরীতে ঈমান যখন মুজাহাদা ছাড়া হবে, মুআমালা ও মুআশারা ছাড়া হবে তখন সে ঈমান হবে নিষ্প্রাণ ফুলঝুরির মত। সে ঈমান আমাদের মাঝে কোন পরিবর্তন আনতে পারবে না। তাই সে ঈমানের কোন মূল্যও আমাদের কাছে থাকবে না।
হযরতজি মাওলানা ইউসুফ রহ. বলতেন, দায়ী যখন এই ঈমানি মেহনতকে মোজাহাদা ও কোরবানির সাথে হুসনে মুআশারা ও আখলাকের সাথে পূর্ণ করবে, কেবল আল্লাহর জন্যই এ কাজ করবে, আর এ কাজকে যিন্দেগীর মাকসাদ বানিয়ে করবে তখন তার জীবনও হবে ইসলামের দাওয়াতের জন্য মকবুল জীবন, মৃত্যুও হবে ঈমানী হাওয়া ছড়িয়ে দেয়ার জন্য মৃত্যু। আর তখনই সাহাবায়ে কেরামের মত আমাদের কাছেও দুনিয়ার সব কিছুর চেয়ে ঈমানের মূল্য সবচেয়ে বেশী হবে।
মাওলানা ইউসুফ রহ. বলতেন, আমাদের ঈমান তো হল উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ঈমান। বাবা মুমিন ছিলেন, তাই আমিও মুমিন। তাই আমাদের ঈমান মেহনতের মাধ্যমে অর্জিত নয়। কিন্তু সাহাবায়ে কেরাম মেহনত করে ঈমান শিখেছেন। ুধার কষ্ট সহ্য করেছেন। পোষাক-পরিচ্ছেদের কষ্ট সহ্য করেছেন। তাই সাহাবায়ে কেরামের কাছে ঈমানের মূল্য ছিল। তাদের কেউ ঘর থেকে আসতেন। আর কেউ আসতেন বাজার থেকে। কিন্তু দ্বীনের তাকাজা সামনে আসার পর তাদের সামনে দ্বিতীয় কোন তাকাযা ছিল না। আর এর বিপরীতে ঈমান যখন মুজাহাদা ছাড়া হবে, মুআমালা ও মুআশারা ছাড়া হবে তখন সে ঈমান হবে নিষ্প্রাণ ফুলঝুরির মত। সে ঈমান আমাদের মাঝে কোন পরিবর্তন আনতে পারবে না। তাই সে ঈমানের কোন মূল্যও আমাদের কাছে থাকবে না।
আপনাদের প্রতি দুটি বিশেষ অনুরোধ
১. তো আপনাদের দেশ থেকে আমাদের দেশের কিংবা অন্য কোন দেশের জামাত আসে। তারা আমাদের কাছে কারগুজারী শোনায় যে, এখানে সব মেহনত তো ঠিক আছে। কিন্তু নুসরতের েেত্র আরো তারাক্কী করা উচিত। নুসরত কাকে বলে? নুসরত হল, জামাত যখন এলাকায় আসবে তখন তাদের সাথে বিছানা নিয়ে থাকা। তাদের সাথে বেশির চেয়ে বেশি সময় দেয়া। বাড়িতে বাড়িতে তাদের নিয়ে যাওয়া। তাশকিল করতে থাকা এবং উসূল করে করে তাদের জামাতে পাঠাতে থাকা।
২. মহল্লার চিল্লা-তিন চিল্লার পুরোনো সাথিরা নতুন সাথিদের নিয়ে এই ঈমানের মেহনতে চলতে থাকবে। প্রতিদিন দাওয়াত ও মশোয়ারা করবে। সাপ্তাহিক গাশতের পরিপূর্ণ ইহতেমাম করবে। তারপর বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ঈমানের মেহনতের জন্য তাদেরকে তৈরি করতে থাকবে।
মুরুব্বীরা আমাদেরকে এ কথাটই বলছেন বারবার। আমরা যদি উপরের বলা কাজ দুটো পূর্ণ করি এবং তাদের বলা নকশা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী সাধ্যমত মেহনত করতে থাকি ইনশাআল্লাহ পুরো দুনিয়ার মানুষের জন্য আমাদের দেশকে আল্লাহ নমুনা বানাবেন। আল্লাহ আপনাদেরকে কবুল করুন। আমীন
১. তো আপনাদের দেশ থেকে আমাদের দেশের কিংবা অন্য কোন দেশের জামাত আসে। তারা আমাদের কাছে কারগুজারী শোনায় যে, এখানে সব মেহনত তো ঠিক আছে। কিন্তু নুসরতের েেত্র আরো তারাক্কী করা উচিত। নুসরত কাকে বলে? নুসরত হল, জামাত যখন এলাকায় আসবে তখন তাদের সাথে বিছানা নিয়ে থাকা। তাদের সাথে বেশির চেয়ে বেশি সময় দেয়া। বাড়িতে বাড়িতে তাদের নিয়ে যাওয়া। তাশকিল করতে থাকা এবং উসূল করে করে তাদের জামাতে পাঠাতে থাকা।
২. মহল্লার চিল্লা-তিন চিল্লার পুরোনো সাথিরা নতুন সাথিদের নিয়ে এই ঈমানের মেহনতে চলতে থাকবে। প্রতিদিন দাওয়াত ও মশোয়ারা করবে। সাপ্তাহিক গাশতের পরিপূর্ণ ইহতেমাম করবে। তারপর বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ঈমানের মেহনতের জন্য তাদেরকে তৈরি করতে থাকবে।
মুরুব্বীরা আমাদেরকে এ কথাটই বলছেন বারবার। আমরা যদি উপরের বলা কাজ দুটো পূর্ণ করি এবং তাদের বলা নকশা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী সাধ্যমত মেহনত করতে থাকি ইনশাআল্লাহ পুরো দুনিয়ার মানুষের জন্য আমাদের দেশকে আল্লাহ নমুনা বানাবেন। আল্লাহ আপনাদেরকে কবুল করুন। আমীন
No comments:
Post a Comment