রামাদানের পরেও ধারাবাহিক আমল করে যাওয়া আমল কবুল হওয়ার সব চেয়ে বড় আলামত। কেউ বলেছেন, ‘নেকির সওয়াব হচ্ছে, নেকির পর নেকি করা। এক নেক আমলের পর দ্বিতীয় নেক আমল করা, প্রথম আমলটি কবুল হওয়ার আলামত। যেমন নেক আমল করার পর গোনাহ করা, নেক আমল কবুল না হওয়ার আলামত’।
রামাদান পেয়ে ও তাতে সিয়াম-কিয়াম করে, রামাদানের পর গুনাহ করা মূলত আল্লাহর নিয়ামতকে গোনাহের মোকাবেলায় দাঁড় করানোর শামিল। যদি কেউ রামাদানেই রামাদান পরিবর্তী গোনাহ করার ইচ্ছা করে থাকে, তবে তার রোজা তার ওপরই পতিত হবে এবং তওবা না করা পর্যন্ত তার জন্য রহমতের দরজা বন্ধ থাকবে।
হে তওবাকারীরা, রামাদানের পর আপনারা গোনাতে ফিরে যাবেন না। আপনারা ঈমানের স্বাদের ওপর গোনার প্রবৃত্তিকে প্রধান্য দেবেন না। আপনারা আল্লাহর জন্য ধৈর্য ধারণ করুন। তিনি আপনাদের উত্তম জিনিস দান করবেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি আল্লাহ তোমাদের অন্তরে কোন কল্যাণ আছে বলে জানেন, তাহলে তোমাদের থেকে যা নেয়া হয়েছে, তার চেয়ে উত্তম কিছু দেবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন, আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’। (আনফাল : ৭০)
"কম হলেও, ধারাবাহিক আমল আল্লাহর নিকট বেশি প্রিয়।" (বুখারী, মুসলিম)
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, একদা নবি
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিকট গেলেন, তখন এক মহিলা
তাঁর কাছে (বসে) ছিল। তিনি বললেন, এটি কে?’’ আয়েশা
রাদিয়াল্লাহু আনহা বললেন, অমুক মহিলা, যে প্রচুর
নামাজ পড়ে।’ তিনি বললেন, থামো! তোমরা
সাধ্যমত আমল কর। আল্লাহর কসম! আল্লাহ
ক্লান্ত হন না, যতক্ষণ না তোমরা ক্লান্ত হয়ে পড়।’’ আর সেই আমল তাঁর নিকট প্রিয়তম ছিল, যেটা তার
আমলকারী লাগাতার করে থাকে।
No comments:
Post a Comment