৫. চুরি করা কবীরা গুনাহ। সাধারণ চুরির চেয়ে বিশ্বাসের বিশ্বাসঘাতকতা করে চুরি করা অর্থাৎ আমানতের খিয়ানত করা অনেক বেশি পাপ।
৬. অন্যায়ভাবে যে কোন মানুষ খুন করা কবীরা গুনাহ। ইসলামী রাষ্ট্রের আনুগত্য স্বীকারকারী সংখ্যালঘুকে খুন করা, তার মাল চুরি করা ও তার নারীর সতীত্ব হরণ করা এক সমান পাপ এবং এক সমান শাস্তি।
তিন কারণ ব্যতীত কোন মানুষের জীবনকে বধ করা যায় না। যথা-
ক. মানুষ খুন করলে।
খ. বিবাহিত অবস্থায় অন্য নারীর সতীত্ব হরণ করলে।
গ. মুরতাদ হয়ে গেলে অর্থাৎ মুলসমান হয়ে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কোন কথা বললে। অবশ্য এ শাস্তি জারি করার অধিকার একমাত্র ইসলামী হুকুমতের প্রশাসকদের।
৭. মিথ্যা তুহমত লাগানো। এটাও কবীরা গুনাহ। সবচেয়ে বড় তুহমত হচ্ছে যিনার তুহমত। কারো ওপর যিনার তুহমত দিলে আখিরাতে তার দোযখের শাস্তি ছাড়াও দুনিয়ার শাস্তি এই যে, তাকে আশিটি দুররা মারতে হবে। এতদ্ব্যতীত অন্যান্য তুহমত ও অশ্লীল গালির শাস্তি বিচারক ও সমাজনেতার বিচার অনুসারে কমবেশি হবে। শাস্তির দ্বারা সমাজ পবিত্র হয়।
৮. মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া। এটা অত্যন্ত মারুত্মক কবীরা গুনাহ। এরও শাস্তি বিধান করা রাষ্ট্রের ও সমাজের কর্তব্য। মিথ্যা বলা মহাপাপ। এই পাপের প্রতি সমাজের ঘৃণা থাকা দরকার। শৈশবে শিশুরা যাতে মিথ্যায় অভ্যস্ত না হয়, সেদিকে অভিভাবকদের অত্যন্ত তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা দরকার।
৯. যাদু করে কারো ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করা কবীরা গুনাহ। অনেক দুষ্ট প্রকৃতির লোক শয়তান-জিনের সাধনা করে মাছ, গোশত পরিত্যাগ করে পাক-ছাফ ও ফরয গোসল পরিত্যাগ করে, কালীর সাধনা করে, যাদুবিদ্যা হাসিল করে, মূর্খ সমাজে পীর বা ফকির নামে পরিচিত হয়ে গোপনে গোপনে কারো মাথার চুল কেটে নিযে, কারো কাপড়ের কোনা কেটে, কারো ঘরের দুয়ারে শ্মশানের কয়লা, শ্মশানের হাড়ের তাবিজ পুঁতে, কাউকে বান মেরে মানুষের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করে, একেই যাদু বলে। শরী‘আত অনুসারে এটা অত্যন্ত জঘন্য পাপকাজ। এরূপ ব্যক্তিকে ধরতে পারলে তার শাস্তি বিধান করা সমাজের ও রাষ্ট্রের কর্তব্য। আখিরাতের শাস্তি তো পরে হবে, দুনিয়ার শাস্তি এখানেই হওয়া দরকার। বিনা সাক্ষীতে বিনা প্রমাণে কারো ওপর কোনোরূপ [চুরি ইত্যাদির] দোষারূপ করা এই ভিত্তিতে যে, সূরা ইয়াসীন পড়ে লোটা ঘুরানোতে বা বাটি চালানো, খুর চালান দেওয়াতে অমুকের নাম উঠেছে, এটাও এক প্রকার যাদুর অন্তর্গত। ইসলাম এরূপ নীতিহীন-ভিত্তিহীন দোষারোপকে কিছুতেই অনুমোদন করে না ।
৬. অন্যায়ভাবে যে কোন মানুষ খুন করা কবীরা গুনাহ। ইসলামী রাষ্ট্রের আনুগত্য স্বীকারকারী সংখ্যালঘুকে খুন করা, তার মাল চুরি করা ও তার নারীর সতীত্ব হরণ করা এক সমান পাপ এবং এক সমান শাস্তি।
তিন কারণ ব্যতীত কোন মানুষের জীবনকে বধ করা যায় না। যথা-
ক. মানুষ খুন করলে।
খ. বিবাহিত অবস্থায় অন্য নারীর সতীত্ব হরণ করলে।
গ. মুরতাদ হয়ে গেলে অর্থাৎ মুলসমান হয়ে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কোন কথা বললে। অবশ্য এ শাস্তি জারি করার অধিকার একমাত্র ইসলামী হুকুমতের প্রশাসকদের।
৭. মিথ্যা তুহমত লাগানো। এটাও কবীরা গুনাহ। সবচেয়ে বড় তুহমত হচ্ছে যিনার তুহমত। কারো ওপর যিনার তুহমত দিলে আখিরাতে তার দোযখের শাস্তি ছাড়াও দুনিয়ার শাস্তি এই যে, তাকে আশিটি দুররা মারতে হবে। এতদ্ব্যতীত অন্যান্য তুহমত ও অশ্লীল গালির শাস্তি বিচারক ও সমাজনেতার বিচার অনুসারে কমবেশি হবে। শাস্তির দ্বারা সমাজ পবিত্র হয়।
৮. মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া। এটা অত্যন্ত মারুত্মক কবীরা গুনাহ। এরও শাস্তি বিধান করা রাষ্ট্রের ও সমাজের কর্তব্য। মিথ্যা বলা মহাপাপ। এই পাপের প্রতি সমাজের ঘৃণা থাকা দরকার। শৈশবে শিশুরা যাতে মিথ্যায় অভ্যস্ত না হয়, সেদিকে অভিভাবকদের অত্যন্ত তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা দরকার।
৯. যাদু করে কারো ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করা কবীরা গুনাহ। অনেক দুষ্ট প্রকৃতির লোক শয়তান-জিনের সাধনা করে মাছ, গোশত পরিত্যাগ করে পাক-ছাফ ও ফরয গোসল পরিত্যাগ করে, কালীর সাধনা করে, যাদুবিদ্যা হাসিল করে, মূর্খ সমাজে পীর বা ফকির নামে পরিচিত হয়ে গোপনে গোপনে কারো মাথার চুল কেটে নিযে, কারো কাপড়ের কোনা কেটে, কারো ঘরের দুয়ারে শ্মশানের কয়লা, শ্মশানের হাড়ের তাবিজ পুঁতে, কাউকে বান মেরে মানুষের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করে, একেই যাদু বলে। শরী‘আত অনুসারে এটা অত্যন্ত জঘন্য পাপকাজ। এরূপ ব্যক্তিকে ধরতে পারলে তার শাস্তি বিধান করা সমাজের ও রাষ্ট্রের কর্তব্য। আখিরাতের শাস্তি তো পরে হবে, দুনিয়ার শাস্তি এখানেই হওয়া দরকার। বিনা সাক্ষীতে বিনা প্রমাণে কারো ওপর কোনোরূপ [চুরি ইত্যাদির] দোষারূপ করা এই ভিত্তিতে যে, সূরা ইয়াসীন পড়ে লোটা ঘুরানোতে বা বাটি চালানো, খুর চালান দেওয়াতে অমুকের নাম উঠেছে, এটাও এক প্রকার যাদুর অন্তর্গত। ইসলাম এরূপ নীতিহীন-ভিত্তিহীন দোষারোপকে কিছুতেই অনুমোদন করে না ।
No comments:
Post a Comment