Tuesday, 1 April 2014

মসজিদে দুনিয়াবী কথা

‘‘মসজিদে কেউ প্রথমবার দুনিয়াবী কথা বললে ফিরিশতারা বলেন, হে আল্লাহর বন্ধু আপনি চুপ করুন। আবার দুনিয়াবী কথা বললে ফিরিশতারা বলেন, হে আল্লাহর বান্দা তুমি চুপ কর। তৃতীয়বার কথা বললে ফিরিশতারা বলেন, হে আল্লাহর দুশমন তুই চুপ কর।’’
এক ভাই প্রশ্ন পাঠিয়েছেন, এটি হাদীস কি না। কাউকে তিনি এটিকে হাদীস হিসেবে বলতে শুনেছেন।
এটি হাদীস নয়; হাদীসের কিতাবসমূহে এটা পাওয়া যায় না।
ইতিপূর্বে (অক্টোবর-নভেম্বর ২০০৫) এ বিভাগে এ বিষয়ক একটি জাল বর্ণনা আলোচনা করা হয়েছে। সেটি ছিল-‘‘মসজিদে (দুনিয়াবী) কথাবার্তা নেকিকে এমনভাবে খতম করে, যেমন আগুন কাঠকে জ্বালিয়ে ভস্ম করে।’’
মনে রাখতে হবে, মসজিদ নামায ও আল্লাহ তাআলার যিকিরের জন্যই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মসজিদকে দুনিয়াবী কথাবার্তা ও কাজকর্মের স্থান বানানো অথবা এ উদ্দেশ্যে মসজিদে জমায়েত হওয়া নাজায়েয।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে বেচা-কেনা বা হারানো বস্ত্ত খুঁজে পাওয়ার এলান করতে নিষেধ করেছেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১০৭৯)।
আরেক হাদীসে এ বিষয়ে কঠিন ধমকি এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কাউকে মসজিদে বেচা-কেনা করতে দেখলে বল, তোমার বেচা-কেনা লাভজনক না হোক। তেমনিভাবে কাউকে যদি মসজিদে হারানো বস্ত্তর এলান করতে দেখ তাহলে বল, আল্লাহ তোমার হারানো বস্ত্ত ফিরিয়ে না দিন (অর্থাৎ এ কাজটি  খুবই নিন্দনীয়)। (জামে তিরমিযী, হাদীস ১৩৩৬;  সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস ১৩০৫)। তবে কোনো দ্বীনী কাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার পর প্রসঙ্গক্রমে দুনিয়াবী কোনো বৈধ কথাবার্তা বলা জায়েয। এর বৈধতা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরামের আমল দ্বারা প্রমাণিত। (দ্রষ্টব্য সহীহ বুখারী ১/৬৩,৬৪, ও ৬৫; রদ্দুল মুহতার (শামী) ১/৬৬২; আললুলুউল মারসূ ৭৮)
                                                                                                        মাসিক
                                                                                         

1 comment: