প্রশ্ন-: তাবলীগ জামা‘আত কি হক ? যদি হক হয়ে থাকে তাহলে কিছু সংখ্যক আলেম এর বিরোধিতা করেন কেন ?
উত্তর : নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চিন্তা ধারা এই ছিল যে, প্রত্যেকটি মানূষেব সম্পর্ক আল্লাহ তা’আলার সাথে হয়ে যাক এবং প্রত্যেকটি লোক জাহান্নাম থেকে বেঁচে জান্নাতবাসী হয়ে যাক। এভাবে সমস্ত দুনিয়াতে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাক । প্রচলিত তাবলীগী জামা’আত (যার মধ্যে সকল হক্কানী উলামায়ে কিরাম শামিল আছেন) যেহেতূ এ ফিকির নিয়ে নিজের খরচে মানুষের ময়দানে কাজ করে যাচ্ছে। সুতরাং এটাকে না হক বলা নিজের মুর্খতা জাহির করা ছাড়া আর কিছুই নয় । তবে নগন্য সংখ্যক আলেম যারা এ বিরোধিতা করেন, তারা সম্ভবতঃ তাবলীগী জামা‘আতকে গভীরভাবে দেখার সুযোগ পাননি বা কিছু ইলমবিহীন তাবলীগী ভাইদের আচার-ব্যবহারে বা কোন বিষয়ে বাড়াবাড়ির কারণে উল্টা বূঝে বিভিন্ন রকম মন্তব্য করে থাকবেন । তবে উভয়টা তাদেরই দুর্বলতা। কারণ, কোন ব্যাপারে যখন তারা মুখ খুলতে চান, তখন তাদেরই উচিৎ-নিজের পণ্ডিত্যের উপর নির্ভর না করে জিনিসটি ভালভাবে যাচাই করা। প্রয়োজনে নিজের বড় ও প্রবীণগণের স্মরণাপন্ন হয়ে বা উক্ত জামা’আতের সাথে কিছু সময় দিয়ে মেহনতটা বুঝতে চেষ্টা করা। শুধু নিজের পুঁজি দিয়ে সকল ক্ষেত্রে সবকিছু সমাধান দেয়া সম্ভব না হওয়াটাই স্বাভাবিক। কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে “তোমাদেরকে যে ইলম ও জ্ঞান দেয়া হয়েছে, তা খুবই নগণ্য। [সূরা বনী ইসরাইল, ৮৫]
দ্বিতীয় ব্যপারে কথা হচেছ-তাবলীগের বে-ইলম সাথীদের সাথে কোন কথা বা কাজকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করা আলেমের শান নয়। তিনি তো দেখবেন ঐ সকল বুজুর্গগণের কাজ বা কথাকে যারা এ কাজকে প্রচলিত পদ্ধতিতে চালু করেছেন। তারা কেমন ধরনের বুজুর্গ ছিলেন। তাদের ইলমের উপর তাদের সমসাময়িক ওলামাগণ নির্ভর করতেন কি না? তারা বিশ্বস্ত ছিলেন কি না? তাদের বয়ান, তাকরীর ও মালফুযাতে কোন আপত্তিকর কথা আছে কি না? এসব দেখে একজন আলেম সিদ্ধান্তে পৌছাবেন। তাবলীগী জামা’আতের কোন আমীর ও জিম্মাদার মূলনীতির খিলাফ করলে, তার ভুলের সমালোচনা না করে বরং তা শুধরিয়ে দিবেন । এটাই উলামায়ে কিরামে দায়িত্ব। কূরআন এ নির্দেশই দেয় যে, “তোমরা নেক কাজ ও তাকওয়ার ব্যাপারে একে অপরের সহযোগিতা কর।’ (সুরাহ মায়িদা-২)
উত্তর : নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চিন্তা ধারা এই ছিল যে, প্রত্যেকটি মানূষেব সম্পর্ক আল্লাহ তা’আলার সাথে হয়ে যাক এবং প্রত্যেকটি লোক জাহান্নাম থেকে বেঁচে জান্নাতবাসী হয়ে যাক। এভাবে সমস্ত দুনিয়াতে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাক । প্রচলিত তাবলীগী জামা’আত (যার মধ্যে সকল হক্কানী উলামায়ে কিরাম শামিল আছেন) যেহেতূ এ ফিকির নিয়ে নিজের খরচে মানুষের ময়দানে কাজ করে যাচ্ছে। সুতরাং এটাকে না হক বলা নিজের মুর্খতা জাহির করা ছাড়া আর কিছুই নয় । তবে নগন্য সংখ্যক আলেম যারা এ বিরোধিতা করেন, তারা সম্ভবতঃ তাবলীগী জামা‘আতকে গভীরভাবে দেখার সুযোগ পাননি বা কিছু ইলমবিহীন তাবলীগী ভাইদের আচার-ব্যবহারে বা কোন বিষয়ে বাড়াবাড়ির কারণে উল্টা বূঝে বিভিন্ন রকম মন্তব্য করে থাকবেন । তবে উভয়টা তাদেরই দুর্বলতা। কারণ, কোন ব্যাপারে যখন তারা মুখ খুলতে চান, তখন তাদেরই উচিৎ-নিজের পণ্ডিত্যের উপর নির্ভর না করে জিনিসটি ভালভাবে যাচাই করা। প্রয়োজনে নিজের বড় ও প্রবীণগণের স্মরণাপন্ন হয়ে বা উক্ত জামা’আতের সাথে কিছু সময় দিয়ে মেহনতটা বুঝতে চেষ্টা করা। শুধু নিজের পুঁজি দিয়ে সকল ক্ষেত্রে সবকিছু সমাধান দেয়া সম্ভব না হওয়াটাই স্বাভাবিক। কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে “তোমাদেরকে যে ইলম ও জ্ঞান দেয়া হয়েছে, তা খুবই নগণ্য। [সূরা বনী ইসরাইল, ৮৫]
দ্বিতীয় ব্যপারে কথা হচেছ-তাবলীগের বে-ইলম সাথীদের সাথে কোন কথা বা কাজকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করা আলেমের শান নয়। তিনি তো দেখবেন ঐ সকল বুজুর্গগণের কাজ বা কথাকে যারা এ কাজকে প্রচলিত পদ্ধতিতে চালু করেছেন। তারা কেমন ধরনের বুজুর্গ ছিলেন। তাদের ইলমের উপর তাদের সমসাময়িক ওলামাগণ নির্ভর করতেন কি না? তারা বিশ্বস্ত ছিলেন কি না? তাদের বয়ান, তাকরীর ও মালফুযাতে কোন আপত্তিকর কথা আছে কি না? এসব দেখে একজন আলেম সিদ্ধান্তে পৌছাবেন। তাবলীগী জামা’আতের কোন আমীর ও জিম্মাদার মূলনীতির খিলাফ করলে, তার ভুলের সমালোচনা না করে বরং তা শুধরিয়ে দিবেন । এটাই উলামায়ে কিরামে দায়িত্ব। কূরআন এ নির্দেশই দেয় যে, “তোমরা নেক কাজ ও তাকওয়ার ব্যাপারে একে অপরের সহযোগিতা কর।’ (সুরাহ মায়িদা-২)
No comments:
Post a Comment