Tuesday, 22 July 2014

সালাম মুসাফাহা তথা অভিবাদন প্রসঙ্গে ইসলাম

সালামঃ ইসলাম শান্তি উন্নতি ও কল্যাণ কামনার ধর্ম। প্রেম-প্রীতি ভালবাসা ও সৌহার্দের ধর্ম। তাই ইসলাম পারস্পরিক দেখা-সাক্ষাতকালে শান্তি ও কল্যাণ কামনার্থে এবং প্রেম-প্রীতিভালবাসা ও সৌহার্দতা প্রকাশার্থে পরস্পরের মধ্যে সালাম বিনিময় করতে শিক্ষা দিয়েছে। শিক্ষা দিয়েছে একে অপরকে আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্মাতুল্লাহ্’ বলতে এবং জবাবে ওয়া আলাইকুমুস্ সালাম বলে স্বাগত জানাতে
বলা বাহুল্যসালাম আদান-প্রদানের বাক্য যদিও সংপ্তি তথাপি ব্যাপক অর্থবহ। কেননাএতে ভালবাসা প্রকাশের সাথে সাথে এ দোয়াও করা হয় যেতোমাদের প্রতি আল্লাহ্র শান্তি বর্ষিত হোক। অর্থাৎ সালাম প্রদানের মাধ্যমে অপরের জন্য এ দোয়াই করা হয় যেসকাল-সন্ধ্যা নির্বিশেষে সর্বণপারিবারিকসামাজিকরাজনৈতিকরাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনে এবং আর্থিক ও মানসিক ক্ষেত্রে তথা জীবনে-মরণে সর্বকালেসর্বক্ষেত্রেসর্বাবস্থায় তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। তোমরা সর্বপ্রকার বিপদাপদ ও বালা-মুসীবত থেকে নিরাপদ থাকঅধিকন্তু সালাম প্রদানের মাধ্যমে অপরের জন্য আল্লাহর শান্তি ও রহমত কামনা করায় আল্লাহর প্রতি সকলের মুখাপেক্ষিকতাও প্রকাশ পায়। এতে করে আল্লাহর যিকর হয় এবং পরস্পরেও আল্লাহর কথা স্মরণ হয়। সালামে অগ্রগামী ব্যক্তি অহমিকা ও আত্মম্ভরিতা থেকে মুক্তি পায় এবং নিজেকে তুচ্ছ জ্ঞান করতে শিখে। তাছাড়া সালাম আদান-প্রদানের মাধ্যমে একে অপরের সর্বাধিক মঙ্গল কামনা করে। এতে পরস্পরে যেন একথাও স্বীকার করে যে,আমি কখনোও তোমাদের কোন প্রকারের অনিষ্ট করব না। তোমরা আমার সর্বাঙ্গ থেকেসম্পূর্ণ নিরাপদ। আর এটিই তো একজন প্রকৃত মুসলমানের পরিচয়
হাদীসে ইরশাদ হচ্ছে- সেই ব্যক্তি প্রকৃত মুসলমানযার মুখ ও হাত থেকে সকল মুসলমান নিরাপদ। (তিরমিযীনাসায়ী)
পক্ষান্তরেআদাবগুডমর্ণিংগুড ইভিনিংগুড নাইট বা সুপ্রভাতশুভ সন্ধ্যাশুভ রাত্রি ইত্যাদি বাক্য ব্যাপক অর্থবহ নয়। বরং কাল সম্পৃক্ত এবং আংশিক ও পরিমিত অর্থপূর্ণ। গুড নাইট বললে রাত্রিকালের কল্যাণগুড মর্ণিং বললে শুধু প্রাতঃকালীন কল্যাণ এবং গুড ইভিনিং বললে কেবল সন্ধ্যাকালীন কল্যাণই কামনা করা হয়। দিবানিশির বাকী অংশগুলো বাদ পড়ে যায়
মোদ্দা কথাইসলামী সালামে একাধারে পরস্পরের হৃদ্যতা ও দয়ার্দ্রতা অভিব্যক্ত হয়অপরের জন্য ইহ-পরকালীন সমহ কল্যাণ কামনা করা হয় এবং অনিষ্ট না করার প্রতিশ্রুতিও জ্ঞাপন করা হয়। তাছাড়া অহমিকা ও আÍম্ভরিতা পদদলিত হয়। সর্বোপরি পরস্পরের আল্লাহর যিকির হয় এবং আল্লাহর কথা স্মরণ হয়। সত্য বলতে কিপারস্পরিক দেখা-সাক্ষাতের সময় ইসলামী বিধান যে সালামের আচার শিখিয়েছেপৃথিবীর অন্য কোন বিধানে এর তুলনা হতে পারে না
সালামের রীতিঃ এ প্রসঙ্গে রাসলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনসালাম হল কথা-বার্তার আগে। অর্থাৎ কেবল তা-ই সালাম যা পরস্পর সাক্ষাত কালে বাক্যালাপের আগে বলা হয়। দুএকটি কথা বলার পর সালাম করলে তা আর সালাম থাকে না। এ ধরনের সালামের জবাবও দিতে হয় না। রাসলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনযে সালাম প্রদানের পর্বে কথা বলে তার সালামের জবাব দিয়ো না। কাজেই পরস্পর সাক্ষাৎকালে উচিত হলসর্বপ্রকার কথাবার্তা পিছনে রেখে প্রথমে সালাম করাতারপর কথা বলা- এটাই ইসলামের রীতি। সালাম প্রদানের ক্ষেত্রে উত্তম হচ্ছেআস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্মাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ’ বলা এবং এর প্রতিউত্তরে ওয়া আলাই কুমুস্ সালাম ওয়া রাহ্মাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ’ বলা। আর সালামকারী ব্যক্তি যদি আস্সালামু আলাইকুম বলেতবে উত্তম হল এর জবাবে ওয়া আলাই কুমুস্ সালাম ওয়া রাহ্মাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ’ বলা। এর চেয়ে অতিরিক্ত বলা ঠিক নয়। (ফাতওয়ায়ে আলমগিরিয়্যাহ্-৫/৩২৫)
সালাম আদান-প্রদান প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে আরও বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। একটি হাদীসে বলা হয়েছে- যানবাহনে আরোহী ব্যক্তি পদযাত্রীকেপদযাত্রী উপবিষ্ট ব্যক্তিকে এবং স্বল্প সংখ্যক লোক অধিক সংখ্যক ব্যক্তিকে সালাম করবে। অন্য বর্ণনায় আছেকনিষ্ঠ বয়োঃজ্যেষ্ঠকে সালাম করবে। (বুখারীমুসলিমতিরমিযী)
উল্লেখ্যসালাম দেওয়া সার্বজনীন কাজ। আরোহী ব্যক্তি পথচারীকেপথচারী উপবিষ্টকে এবং স্বল্প সংখ্যক ব্যক্তি অধিক সংখ্যক ব্যক্তিকে সালাম করবে। প্রতিপরে কেউ তাদেরকে সালাম করতে পারবে না এমন কোন বাধ্যকতা নেই
রাসলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই ছোটদের সালাম করেছেন বলে হাদীস শরীফে উল্লেখ রয়েছে। হযরত আনাস (রাযি.) বলেনএকদা আমি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলাম। তিনি বালকদের পাশ দিয়ে অতিক্রম কালে তাদেরকে সালাম করেছেন। (তিরমিযী শরীফ)
বস্তুতঃ সালাম দেওয়া সকল মুসলমানদের কাজ। কে আগে সালাম করবে এ বিষয়টি গৌণএতে কারো প্রতি কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে বিষয়টি অনর্থক নয়বরং তাৎপর্যপূর্ণ ও লাভজনক বটে। যদি এক সাথে একাধিক লোক থাকেতবে সকলকে সালাম করতে হবে নাতাদের যে কোন একজন সালাম করলে সকলের প থেকে সালাম করা হয়ে যাবে। ঠিক অনুরূপ প্রতিপরে সকলের জন্য জবাব দেওয়াও ওয়াজিব হবে না। তাদের যে কোন একজন জবাব দিলে সকলের পক্ষ থেকে জবাব দেওয়া হয়ে যাবে। রাসলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঅতিক্রমকালে দলের কোন একজন সালাম দিলে দলের পক্ষে যথেষ্ট হবে এবং উপবিষ্টদের কোন একজন জবাব দিলে সকলের পক্ষে যথেষ্ট হবে। (আবুদাঊদ শরীফ)
অমুসলমানকে সালাম দেওয়া বৈধ নয়। রাসলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- তোমরা ইহুদী এবং নাসারাকে আগে সালাম করবে না। (বুখারী শরীফ)। তবে যদি কোন অমুসলমান কোন মুসলমানকে আগে সালাম দেয় তবে জবাবে শুধু ওয়া আলাইকুমবলবে। (ফাত্ওয়ায়ে শামী-৬/৪১৩)
বস্তুতঃ সালামের জবাব দেওয়া যেমন ওয়াজিব তেমনি শুনিয়ে দেওয়াও ওয়াজিব। তাই মুখে উচ্চারণ করে সালামের জবাব দিতে হবে। এবং এতটুকু আওয়ায হতে হবে যাতে সালামকারী তার জবাব শুনতে পান। নতুবা জবাব দাতার দায়িত্ব আদায় হবে না। সালাম দাতা যদি বধির হন কিংবা দরে থাকেন আর শোনানো সম্ভব না হয়তবে জবাব মুখে উচ্চারণ করে সেই সাথে ইশারা দিয়ে তাকে তা বুঝিয়ে দিতে হবে। (ফাতওয়ায়ে শামী-৬/৪১৩৪১৪,আলমগিরিয়্যাহ্-৫/৩২৬)
হাত তোলাঃ সালাম আদান-প্রদাকালে হাত উঠানোর কোন প্রমাণ শরীয়তে নেই। এটি সম্পূর্ণ বিজাতীয় কাজ। রাসলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- ইহুদী-নাসারাদের বেশ ধারণ করো না। ইহুদীদের সালাম হল আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করা। এবং নাসারাদের সালাম হল হাতের তালু দিয়ে ইশারা করা। (তিরমিযী শরীফ)। তাই হাত না তুলে কেবল মুখ দ্বারাই সালাম করতে হবে। তবে বধির কিংবা দরত্বের কারণে শোনানো সম্ভব না হলে তাকে সালাম দেওয়া হচ্ছে একথা বোঝানোর ল্েয সালাম বা সালামের জবাব মুখে উচ্চারণ করে সেই সাথে ইশারা করলে তাতে অসুবিধা হবে না
মসজিদে প্রবেশকালে সালামঃ মসজিদে অবস্থানরত লোকজন যদি নামাযযিক্রতালীম ইত্যাদিতে মশগুল না থাকেতাহলে মসজিদে প্রবেশ কালে সালাম করা উচিত। কিন্তু উপরোক্ত কোন কাজে মশগুল থাকলে কিংবা মসজিদে কোন লোক না থাকলে নিয়ম হল, ‘আস্সালামু আলাইনা মিররাব্বিনা ওয়া আলা ইবা-দিল্লা হিস্সা-লিহীন বলা। তবে যদি কিছু সংখ্যক লোক নামাযযিক্র ইত্যাদিতে মশগুল থাকে আর কিছু সংখ্যক অবসর থাকেতাহলে অবসর লোকদের সালাম দেওয়ার দ্বারা যদি নামায বা যিক্ররত লোকদের অসুবিধা সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে তাহলে সালাম করা অনুচিত। এ ক্ষেত্রে অধিক সতর্কতামলক এবং ইবাদতরত ব্যক্তির ইবাদতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশার্থে সালাম না করাই ভাল
মুসাফাহাঃ স্বাভাবিক সাক্ষাতের সময় সালাম এবং কিছু কাল বিলম্বে সাক্ষাতের সময় মুসাফাহা করা সুন্নাত। রাসলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- তোমাদের পরস্পরে যে সালাম করা হয়তার পরিপরক হল মুসাফাহা বা করমর্দন। (তিরমিযী,আহমদ)
মুআনাক্বাহঃ কারো সাথে দীর্ঘ দিন পর সাক্ষত হলে মুআনাক্বাহ্ করা সুন্নাত। যার নিয়ম হল,একে অপরের সাথে স্বীয় গর্দান ও বুক একবার মিলানো। প্রত্যেকেই নিজের ডান দিক মিলাবেঅনেকে তিনবার বুক মিলিয়ে মুআনাক্বাহ্ করে থাকেন। অথচ তিনবার মিলানোর কোন প্রমাণ শরীয়তে নেই। বরং মুসাফাহার ন্যায় মুআনাক্বাহও একবার হওয়া নিয়ম। (ফাত্ওয়ায়ে মাহ্মদিয়্যাহ্-৫/১৭২)
হস্ত চুম্বনঃ মুসাফাহার পর কোন কোন লোককে হস্ত চুম্বন করতে দেখা যায়। অথচ এর কোন প্রমাণ শরীয়তে নেই। উলামায়ে কিরাম এটাকে মাকরূহে তাহরীমী আখ্যা দিয়েছেন। বিধায় এটি থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। (র্দুরে মুখতার-৬/৩৮৩)
অন্যের গৃহে প্রবেশকালে অনুমতি গ্রহণঃ কারো গৃহে প্রবেশ করতে হলে নিয়ম হল,প্রবেশকালে তার অনুমতি চেয়ে নেওয়া। অনুমতি ছাড়া কারো গৃহে প্রবেশ করা অনুচিতইসলাম ধর্মে অনুমতি গ্রহণের গুরুত্ব অপরিসীম। কুরআন-হাদীসে এর বিধি-বিধান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কিন্তু অত্যš পরিতাপের বিষয়এতদসত্ত্বেও এ ব্যাপারে সকলেই একেবারে উদাসীন। অথচ আল্লাহ্ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেনঃ হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য গৃহে প্রবেশ করো নাযে পর্যন্ত আলাপ পরিচয় না কর এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম না কর। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম যাতে তোমরা স্মরণ রাখ। (রা নর)
অনুমতির রহস্য ও উপকারিতাঃ অন্যের ঘরে প্রবেশকালে অনুমতি গ্রহণের মধ্যে বিভিন্ন রহস্য ও উপকারিতা রয়েছে। যেমন (ক) মানুষের স্বাধীনতায় বিঘœ সৃষ্টি করা ও তাকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা। কেননাবিনা অনুমতিতে কারও গৃহে প্রবেশ করা হচ্ছে তার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা। তাকে অহেতুক কষ্ট দেওয়া। যা শরীয়তের দৃষ্টিতে হারাম। (খ) দ্বিতীয় উপকারিতা হচ্ছেসাক্ষাত প্রার্থীর। সে যখন অনুমতি নিয়ে ভদ্রজনোচিতভাবে সাক্ষাত করবেতখন প্রতিপ তার বক্তব্য যতœসহকারে শুনবে। তার কোন প্রয়োজন থাকলে সহযোগিতা করার প্রেরণা অন্তরে সৃষ্টি হবে। পাক্ষান্তরে কারও উপর বিনা অনুমতিতে চড়াও হয়ে গেলে সে তাকে আকস্মিক বিপদ মনে করে যত শীঘ্র সম্ভব বিদায় করে দিতে চেষ্টা করবে এবং হীতাকাঙ্খিপূর্ণ প্রেরণা থাকলেও তা নিস্তেজ হয়ে যাবে। (গ) তৃতীয় উপকারিতা হচ্ছেনির্লজ্জতা ও অশ্লীলতা দমন। কারণ বিনা অনুমতিতে কারও গৃহে প্রবেশ করলে গাইরে মাহ্রাম নারীর উপর দৃষ্টি পড়া এবং অন্তরে কোন রোগ সৃষ্টি হওয়া আশ্চর্য নয়। এদিকে ল্য করেই তো অন্যের ঘরে প্রবেশকালে অনুমতি গ্রহণের বিধান কুরআনে ব্যভিচারঅপবাদ ইত্যাদি নির্লজ্জতার শাস্তির বিধানের সংলগ্নে বর্ণিত হয়েছে। (ঘ) মানুষ কখনো কখনো নিজ গৃহের নির্জনতায় এমন কাজ করেযার গোপনীয়তা রা করা সে জরুরী মনে করে এবং অপরকে অবহিত করা লজ্জাকর ও অসমীচীন মনে করে। সুতরাং কেউ যদি অনুমতি ব্যতিরেকে সহসা অন্যের ঘরে ঢুকে পড়েতবে সে সেই গোপন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাত হয়ে যাবে। আর কারও গোপন বিষয় বলপ্রয়োগে জানা গুনাহ্। এমনকি জানার চেষ্টা করাও গুনাহ্ এবং অপরের মর্মবেদনা ও মনক্ষুণ্নের কারণ। মোটকথা কারও গৃহে প্রবেশ কালে অনুমতি গ্রহণ শরীয়তের এক গুরুত্বপর্ণ বিধান। তাই এ ব্যাপারে পর্ণ যতœবান হওয়া সকলের প্রয়োজন
সুন্নাত তরীকাঃ কারও গৃহে প্রবেশের জন্য অনুমতি গ্রহণের সুন্নাত তরীকা হচ্ছেদরজায় দাঁড়িয়ে সালাম করতঃ নিজের নাম উল্লেখ করে অনুমতি চাওয়া। এভাবে বলাআস্সালামু আলাইকুমআমি অমুকআমি ভিতরে আসতে চাই। গৃহে বিদ্যমান ব্যক্তি যদি শুধু গলার স্বর দ্বারা প্রবেশিচ্ছুক ব্যক্তিকে চিনে নেওয়ার মত হয়তাহলে নাম উল্লেখ না করলেও চলবে। তবে প্রথমে অবশ্যই সালাম করতে হবে। ইমাম বুখারী (রাহ্.) আদাবুল মুফরাদ গ্রন্থে হযরত আবু হুরাইরাহ্ (রাযি.) থেকে বর্ণনা করেনতিনি বলেন যে ব্যক্তি সালাম না করেই অনুমতি চায় তাকে অনুমতি দিয়ো না। কারণ সে মাসনন তরীকা ছেড়ে দিয়েছে। (রূহুল মাআনী)
হযরত জাবির (রাযি.) থেকে বর্ণিতরাসলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,যে ব্যক্তি প্রথমে সালাম করে না তাকে প্রবেশের অনুমতি দিয়ো না। (বাইহাক্বী)। #
লেখকঃ হযরত মাওলানা মুহাম্মদ ওমর মেখলী
মুহাদ্দিস ও উস্তাদদারুল উলূম মুঈনুল ইসলামহাটহাজারীচট্টগ্রাম

No comments:

Post a Comment