সময়ের সাথে সাথে মুসলিমদের মাঝে ফিক্হের চারটি ধারা জন্ম নেয় এবং বিস্তার লাভ করে ৷ আজ পর্যন্ত ঐ চারটি মাযহাবের প্রচুর প্রভাব পরিলতি হয় ৷ আমাদের উপমহাদেশের মানুষ জন হনাফী মাযহাব কে অনুসরণ করে থাকে।
১) হনাফী মাযহাব - এই মাযহাবের সূত্রপাত ঘটে কুফায়, যেখানে আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা.) এবং আলী ইবন আবু তালিব (রা.) এর মত সাহাবীরা বসবাস করতেন ৷ আবু হানিফা আল নু’মান ইবন সাবিতের (৮০ - ১৫০ হিজরী) নাম অনুসারে এই মাযহাব, হানাফী মাযহাব নামে পরিচিত ৷ ইসলামের ইতিহাসে তাঁকে সর্বকালের বৃহত্তম ফিক্হ শাস্ত্রবিদদের একজন বলে সবাই স্বীকৃতি দিয়ে থাকেন ৷ আবু হানিফার সাথে তাঁর শিষ্য আবু ইউসুফ, মুহাম্মাদ আল হাসান এবং জাফর - এঁরা সবাই এই মাযহাবের গঠন ও বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখেন ৷ আধুনিক পাকিস্তান, ভারত, তুরস্ক, প্রাক্তন সাভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এবং পৃথিবীর অন্যান্য স্থানে আজও হানাফী মাযহাব প্রাধান্য বিস্তার করে আছে ৷
২) মালিকী মাযহাব - এই মাযহাবের বিকাশ ঘটে নবীর (সা.) শহর মদীনায়, যেখানে তাঁর অনেক সাহাবী বসবাস করতেন ৷ এই মাযহাব মালিক বিন আনাসের (৯৫ - ১৭৯ হিজরী) নামানুসারে পরিচিত - যিনি হাদীসের একজন স্কলার ও ফিকাহশাস্ত্রবিদ ছিলেন ৷ এই মাযহাব দ্রুত উত্তর আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়ে যেখানে আজও এর প্রাধান্য পরিলক্ষিত হয়, উপরন্তু মুসলিম স্পেনেও এটাই ছিল প্রধান মাযহাব ৷
৩) শফিঈ মাযহাব- এই মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মুহাম্মাদ ইবন ইদ্রিস আল শাফি'ঈ (১৫০ - ২০৪ হিজরী) - যাঁর নাম অনুসারে এই মাযহাবের নামকরণ হয়েছে ৷ মক্কার একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করা আল শাফি'ঈ মদীনায় গমন করেন ৷ তিনি ইরাকেও যান এবং আবু হানিফার ছাত্র মুহাম্মাদ আল হাসানের সাথেও কথাবার্তা বলেন ৷ উসূল আল ফিক্হ বা ইসলামী আইনতত্ত্বের উপরে প্রথম পুস্তকের সংকলন ইমাম শাফি‘ঈই করেছিলেন ৷ এটা একটা বিশাল কাজ ছিল এবং এতে ইসলামে সুন্নাহর কর্তৃত্ব ও মর্যাদা স্পষ্ট করে নির্দেশিত হয়েছে ৷ আজকের দিনে মিশর, সিরিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং অন্যান্য স্থানে শাফিঈ মাযহাবের প্রাধান্য পরিলক্ষিত হয় ৷
৪) হাম্বলী মাযহাব - আহমাদ বিন হাম্বলের (১৬৪ - ২৪১ হিজরী) নামানুসারে এই মাযহাব পরিচিত ৷ ইমাম আহমাদ ছিলেন হাদীসের এক বিশাল পন্ডিত ব্যক্তি ৷ মুসনাদ আহ্মাদ নামে এক বিশাল গ্রন্থের তিনি ছিলেন প্রণেতা ৷ ফিকাহের ব্যাপারে তিনি তাঁর শিক্ষক ইমাম আল-শাফি'ঈ কর্তৃক গভীরভাবে প্রভাবিত হন ৷ আজকের দিনের সৌদী আরবে, হাম্বলী মাযহাবই হচ্ছে প্রধান ৷
১) হনাফী মাযহাব - এই মাযহাবের সূত্রপাত ঘটে কুফায়, যেখানে আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা.) এবং আলী ইবন আবু তালিব (রা.) এর মত সাহাবীরা বসবাস করতেন ৷ আবু হানিফা আল নু’মান ইবন সাবিতের (৮০ - ১৫০ হিজরী) নাম অনুসারে এই মাযহাব, হানাফী মাযহাব নামে পরিচিত ৷ ইসলামের ইতিহাসে তাঁকে সর্বকালের বৃহত্তম ফিক্হ শাস্ত্রবিদদের একজন বলে সবাই স্বীকৃতি দিয়ে থাকেন ৷ আবু হানিফার সাথে তাঁর শিষ্য আবু ইউসুফ, মুহাম্মাদ আল হাসান এবং জাফর - এঁরা সবাই এই মাযহাবের গঠন ও বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখেন ৷ আধুনিক পাকিস্তান, ভারত, তুরস্ক, প্রাক্তন সাভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এবং পৃথিবীর অন্যান্য স্থানে আজও হানাফী মাযহাব প্রাধান্য বিস্তার করে আছে ৷
২) মালিকী মাযহাব - এই মাযহাবের বিকাশ ঘটে নবীর (সা.) শহর মদীনায়, যেখানে তাঁর অনেক সাহাবী বসবাস করতেন ৷ এই মাযহাব মালিক বিন আনাসের (৯৫ - ১৭৯ হিজরী) নামানুসারে পরিচিত - যিনি হাদীসের একজন স্কলার ও ফিকাহশাস্ত্রবিদ ছিলেন ৷ এই মাযহাব দ্রুত উত্তর আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়ে যেখানে আজও এর প্রাধান্য পরিলক্ষিত হয়, উপরন্তু মুসলিম স্পেনেও এটাই ছিল প্রধান মাযহাব ৷
৩) শফিঈ মাযহাব- এই মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মুহাম্মাদ ইবন ইদ্রিস আল শাফি'ঈ (১৫০ - ২০৪ হিজরী) - যাঁর নাম অনুসারে এই মাযহাবের নামকরণ হয়েছে ৷ মক্কার একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করা আল শাফি'ঈ মদীনায় গমন করেন ৷ তিনি ইরাকেও যান এবং আবু হানিফার ছাত্র মুহাম্মাদ আল হাসানের সাথেও কথাবার্তা বলেন ৷ উসূল আল ফিক্হ বা ইসলামী আইনতত্ত্বের উপরে প্রথম পুস্তকের সংকলন ইমাম শাফি‘ঈই করেছিলেন ৷ এটা একটা বিশাল কাজ ছিল এবং এতে ইসলামে সুন্নাহর কর্তৃত্ব ও মর্যাদা স্পষ্ট করে নির্দেশিত হয়েছে ৷ আজকের দিনে মিশর, সিরিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং অন্যান্য স্থানে শাফিঈ মাযহাবের প্রাধান্য পরিলক্ষিত হয় ৷
৪) হাম্বলী মাযহাব - আহমাদ বিন হাম্বলের (১৬৪ - ২৪১ হিজরী) নামানুসারে এই মাযহাব পরিচিত ৷ ইমাম আহমাদ ছিলেন হাদীসের এক বিশাল পন্ডিত ব্যক্তি ৷ মুসনাদ আহ্মাদ নামে এক বিশাল গ্রন্থের তিনি ছিলেন প্রণেতা ৷ ফিকাহের ব্যাপারে তিনি তাঁর শিক্ষক ইমাম আল-শাফি'ঈ কর্তৃক গভীরভাবে প্রভাবিত হন ৷ আজকের দিনের সৌদী আরবে, হাম্বলী মাযহাবই হচ্ছে প্রধান ৷
hummmm
ReplyDelete